ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অ্যারোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ ইসরায়েলি বাহিনীর তেহরানে পরিচালিত সামরিক হামলায় নিহত হয়েছেন।
আইআরজিসি এক বিবৃতিতে শুক্রবার জানায়, গভীর রাতে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী (যাকে তারা ‘জায়নিস্ট রেজিম’ বলেছে) আইআরজিসি’র একটি কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী হামলা চালায়, এবং সেই হামলায় বীর সেনানী হাজিজাদেহ শহীদ হন।
বিবৃতিতে বলা হয়, শহীদ হাজিজাদেহ দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা রক্ষায় অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান ও পরিশ্রমী ভূমিকা রেখেছেন। শহীদ হওয়ার পর তাকে মেজর জেনারেল পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়েছে।
আইআরজিসি আরও জানায়, তিনি প্রতিরোধ ফ্রন্টের একজন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। প্রতিরক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে তিনি উন্নয়ন, উদ্ভাবন ও শক্তির প্রতীক ছিলেন।
বিবৃতিতে কঠোর ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে, এই বর্বর ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসি বা ইরানি জাতির মনোবল বিন্দুমাত্র দুর্বল হবে না। বরং এটি তাদের ‘কঠিন প্রতিশোধ’ নেওয়ার সংকল্প আরও দৃঢ় করবে।
আইআরজিসি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, এই হামলার জবাব যথাসময়ে ও যথোপযুক্ত স্থানে কঠোরভাবে দেওয়া হবে। জায়নিস্ট রেজিম এবং তাদের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষকরা এর পরিণাম ভোগ করবে।
ইসরায়েলি বাহিনী শুক্রবার ভোররাতে তেহরানের বিভিন্ন আবাসিক এলাকা এবং ইরানের অন্যান্য অংশে হামলা চালায়।
এই হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেইন বাকেরি, আইআরজিসি’র কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টার্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলী রাশিদ, আইআরজিসি অ্যারোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ এবং অন্তত ছয়জন ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানী শহীদ হয়েছেন।
এই হামলার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জায়নিস্ট রেজিম তাদের জন্য একটি তিক্ত ও যন্ত্রণাময় পরিণতির পথ প্রস্তুত করেছে, যা তারা অবশ্যই ভোগ করবে।”