ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্যে বিমান চলাচলের বিকল্প রুটগুলো আরও কমিয়ে আনা হয়েছে।
এতে সোমবার মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে ফ্লাইট সমস্যায় পড়েছে বৈশ্বিক বিমান সংস্থাগুলো। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানান হয়েছে।
ইসরায়েলের ওপর ৩০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা করেছে ইরান। তবে ইসরায়েল ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, তারা যৌথ প্রচেষ্টায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করেছে। কিন্তু ইরানের হামলার ফলে বিমান শিল্পে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
কান্তাস, জার্মানির লুফথানসা, ইউনাইটেড এয়ারলাইনস ও এয়ার ইন্ডিয়াসহ অন্তত এক ডজন এয়ারলাইনসকে গত দুই দিনে ফ্লাইট বাতিল বা পুনরায় রুট করতে হয়েছে।
ওপিএস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জির মতে, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১-এ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পর এটিই বিমান ভ্রমণে সবচেয়ে বড় একক বাধা। প্রতিষ্ঠানটি আকাশপথ ও বিমানবন্দরগুলো পর্যবেক্ষণ করে থাকে।
জি রয়টার্সকে বলেছেন, ২০০১ সালের পর থেকে আকাশ পথে আমাদের এমন কোনো পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। এই সমস্যা আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে।
ইরানের আকাশসীমা ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে ভ্রমণকারী এয়ারলাইনগুলো ব্যবহার করে। এগুলো এখন তুরস্কের মাধ্যমে বা মিসর ও সৌদি আরবের মাধ্যমে দুটি কার্যকর বিকল্প রুটে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন জি।
ইসরায়েল শনিবার তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় তবে রোববার সকালে সেগুলো আবার খুলে দেয়।
জর্ডান, ইরাক ও লেবাননও তাদের ভূখণ্ডে আবার ফ্লাইট চালু করেছে।
এমিরেটস এয়ারলাইনস, কাতার এয়ারওয়েজ ও ইতিহাদ এয়ারওয়েজসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান এয়ারলাইনসগুলো রোববার বলেছে, তারা কিছু ফ্লাইট বাতিল বা পুনরায় রুট করার পরে এই অঞ্চলে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করবে।
সাম্প্রতিক এই সমস্যা যাত্রীদের চাহিদায় প্রভাব ফেলবে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়।
কেননা ইউক্রেন ও গাজায় চলমান সংঘাতের মধ্যে এতে তেমন বড় কোনো প্রভাব পড়েনি বলে বিমান বিশ্লেষক ব্রেন্ডন সোবি বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে তবে এক পর্যায়ে লোকেরা ভ্রমণের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হবে, তবে এখন পর্যন্ত তা ঘটেনি।’