ইসরায়েলে স্থল, সমুদ্র এবং আকাশপথে আকস্মিক হামলা শুরু করেছে গাজার ক্ষমতাসীন সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এই হামলার ফলে আরও একবার হামাস এবং ইসরায়েল প্রত্যক্ষ প্রাণঘাতী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। শনিবারের এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২২ ইসরায়েলি নিহত ও আর শত শত মানুষ আহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলের গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
এমন আকস্মিক হামলা এর আগে হামাস কখনো চালায়নি বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। তবে হামাসের ভাষ্য, এবার ইসরায়েলকে পরিপূর্ণ দমন করতেই তাদের এই পদক্ষেপ।
হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি আলজাহজিরাকে বলেছেন, গত কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনিরা যে নৃশংসতার মুখোমুখি হয়েছে, তার জবাবেই হামাস সামরিক অভিযান শুরু করেছে।
তিনি বলেন, আমরা গাজা উপত্যকায়, ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ও আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতার অবসানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহায়তা চাই। এই লড়াই শুরুর পেছনের কারণ এসবই।
হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফ বলেছেন, ‘এই পৃথিবীর শেষ দখলদারিত্বের অবসানের সর্বশ্রেষ্ঠ যুদ্ধের দিন আজ।’ ইসরায়েলে হামলা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে ৫ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আজ প্রত্যেকের বন্দুক হাতে তুলে নেওয়া উচিত। সেই সময় এসে গেছে, বলেন দেইফ।
টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামাস ‘পশ্চিম তীরে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ পাশাপাশি আরব ও ইসলামি দেশগুলোকে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।