ফিফা বিশ্বকাপ কাতার ২০২২-এ ম্যাচের টিকিট এবং আতিথেয়তা প্যাকেজ বুক করার জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ইসরায়েলের পরিবর্তে ফিলিস্তিনকে একটি দেশ হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর ফলে ইসরায়েলের পাসপোর্ট নিয়ে কেউ কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে পারবেন না। ভ্রমণকালে তাদের ফিলিস্তিনের পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হব্র।
এর ব্যাতিক্রম ঘটলে, ইসরায়েল থেকে খেলা দেখতে কাতার যাওয়া ব্যক্তিরা ম্যাচ টিকিট ছাড়াও যেসব সুযোগ-সুবিধা অন্যরা পাবেন, ইসরায়েলিরা সেসব পাবেন না।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা WAFA জানায় আগের তালিকাটি “ফিলিস্তিন”-এ পরিবর্তিত হওয়ার আগে “ফিলিস্তিনি অঞ্চল, দখলকৃত” লেখা ছিল।
এদিকে আরব ফুটবল ভক্তরা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন। ইসরায়েলের পরিবর্তে তালিকার একটি দেশ হিসাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি “সাহসী এবং সঠিক পদক্ষেপ” হিসাবে বর্ণনা করছেন অনেকেই।
এর আগে, ইসরায়েলি মিডিয়া প্রথম বুধবার এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ উত্থাপন করে। কারণ তালিকায় ইসরায়েলকে ইউরোপের জন্যও তালিকাভুক্ত করা হয়নি।
‘উইন্টারহিল হসপিটালিটি’ নামে যে প্রতিষ্ঠান কাতার বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি করার দায়িত্ব পেয়েছে, সেখানেই উল্লেখ করা আছে বিষয়টি। যদিও সেটি ইসরায়েলি ভক্তরা শুরুতে খেয়াল করেননি বলে জানিয়েছে বেশ কিছু সংবাদ সংস্থা।
এমন খবরের পর বেশ সমালোচনার মুখেই পড়তে হয়েছে ফিফাকে। এ নিয়ে বেশ ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা যায় ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোতে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ইসরায়েলিরা।
ইসরায়েলিরা ক্ষোভে ফেটে পড়লেও মুসলিম বিশ্বের ফুটবল সমর্থকেরা এটাকে দেখছেন ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের নীরব প্রতিবাদ হিসেবে।