হজ ও ওমরাহ পালনের ইচ্ছা অনেকেরই থাকে। তবে অনেক সময় অর্থের অভাবে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না। এ সমস্যা সমাধানে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এনেছে মুদারাবা হজ ও মুদারাবা ওমরাহ সেভিংস স্কিম।
এই দুটি স্কিম ধাপে ধাপে অর্থ জমাতে সহায়তা করে। ফলে হজ বা ওমরাহ পালনের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ যেমন- ভিসা, বিমান ভাড়া, থাকার ব্যবস্থা ও অন্যান্য খরচ সহজে জোগাড় করা সম্ভব হয়।
হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তি নিজের সামর্থ অনুযায়ী ১ থেকে ২৫ বছর মেয়াদে এই সেভিংস হিসাব খুলতে পারেন। মাসিক কিস্তির পরিমাণও নিজের সুবিধা অনুযায়ী নির্ধারণ করা যায়।
এই হিসাব মুদারাবা ভিত্তিতে পরিচালিত হয়, অর্থাৎ গ্রাহক সর্বোচ্চ মুনাফা পান। নির্ধারিত সময়ের আগেই হজ পালনের ইচ্ছা হলে, গ্রাহক হিসাবের জমাকৃত অর্থের সাথে বাকি টাকা যোগ করে হজ সম্পন্ন করতে পারেন।
ওমরাহ পালনের জন্যও রয়েছে অনুরূপ সেভিংস ব্যবস্থা। ১ থেকে ১২ বছর মেয়াদি এই হিসাবেও মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা দেওয়া যায়।
যে কেউ, ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স হলে নিজ নামে এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে তাদের অভিভাবক এই হিসাব খুলতে পারেন।
এই হিসাবেও মুদারাবা পদ্ধতিতে মুনাফা দেওয়া হয়। ফলে সঞ্চয়ের পাশাপাশি বাড়ে লাভও।
ইসলামী ব্যাংকের যেকোনো শাখা, উপশাখা কিংবা এজেন্ট আউটলেট থেকে হিসাব খোলা যায়। প্রয়োজন হয় হিসাবধারী ও নমিনির দুই কপি ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের কপি।
এছাড়া গ্রাহক বাসায় বসেও ইসলামী ব্যাংকের “সেলফিন” অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেই এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
মাসিক কিস্তি পরিশোধ আরও সহজ
গ্রাহক চাইলে নিজের সঞ্চয় হিসাব থেকে হজ বা ওমরাহ সেভিংস অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিস্তির টাকা স্থানান্তরের জন্য “বিশেষ নির্দেশনা” দিতে পারেন।
এছাড়া সেলফিন অ্যাপ ও আই-ব্যাংকিং ব্যবহার করেও মাসিক কিস্তির টাকা সহজেই ট্রান্সফার করা যায়।
এই স্কিম দুটি হজ ও ওমরাহ পালনের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের একটি সহজ ও নিরাপদ পথ করে দিয়েছে। নিয়মিত সঞ্চয়ের মাধ্যমে এখন পবিত্র এই ইবাদত সহজেই সম্পাদন করা সম্ভব।