আসন্ন ঈদুল ফিতরকে ঘিরে মহাসড়কে বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের চাপ। বাড়ছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ব্যস্ততাও। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরিবহন খাতে বেড়েছে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির পরিমাণ কমে এলেও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আবারো সোচ্চার হয়েছে পরিবহন সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজরা।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা, হোতাপাড়া, ভবানীপুর ও বাঘের বাজার এলাকার বাসস্ট্যান্ডগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঈদে ঘরমুখো মানুষকে কেন্দ্র করে পরিবহন সিন্ডিকেট চক্রের লোকজন নতুন করে চেয়ার টেবিল বসিয়ে বাস প্রতি ১ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। পাঁচশ টাকা স্ট্যান্ডের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকারী পুলিশ সদস্যকে দিয়ে বাকি পাঁচশ টাকা পরিবহন সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজ চক্র তাদের পকেটে পুরছে।
জনৈক বাস ড্রাইভারের কাছে চাঁদার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে, তিনি চাঁদার দায়ভার সম্পূর্ণ ছাত্রদের উপর চাপিয়ে দেয়। তার মতে হাসিনাকে তাড়াইয়া ছাত্ররা দখল-চাাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়ে আছে।
গোপন সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংসহ মহাসড়কের অসাধু বাস ড্রাইভার, পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় এই চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট চলছে।