দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই উৎসবকে ঘিরে ফেনীর বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে গবাদি পশুর হাট। গেল কয়েকদিনের থেমে থেমে ঝিরিঝিরি ও মুশলধারে বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া কিছুটা প্রতিকূল থাকলেও এর প্রভাব পড়েনি হাটে। ফেনী সদর উপজেলার হাসপাতাল মোড়সহ বিভিন্ন উপজেলার প্রায় সব হাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু নিয়ে হাজির হয়েছেন খামারিরা।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ছোট, মাঝারি ও কিছু বড় আকৃতির গরু নিয়ে ভিড় করেন বিক্রেতারা। সরবরাহ বেশি থাকায় মূল হাট ছাড়াও আশপাশের এলাকায় গরু নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন অনেকে। হাটে ক্রেতাদের উপস্থিতি থাকলেও বিক্রি তুলনামূলকভাবে কম ছিল। অধিকাংশ ক্রেতা গরু দেখে যাচাই-বাছাই করছেন এবং দাম তুলনা করছেন।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, দুই থেকে চার মণ ওজনের গরু বিক্রি হচ্ছে ৬০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকায়। মাঝারি আকারের তিন থেকে পাঁচ মণ ওজনের গরুর দাম ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে।
খামারী আসগর হোসেন বলেন, পশু পালনের খরচ অনেক বেড়েছে, কিন্তু সে অনুযায়ী দাম পাওয়া যাচ্ছে না। গত বছর যে খড় ২ হাজার টাকায় কিনেছি, এবার সেটা ৩ হাজার টাকা। ভূষি, খুদ, কুড়া—সবকিছুর দাম আগের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
ক্রেতাদের মতে, বৈরী আবহাওয়ার পাশাপাশি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রভাবও বাজারে পড়েছে। বড় গরুর ক্রেতা কম।
চান মিয়া নামের এক ব্যাপারী বলেন, যারা আগে বড় বড় গরু কিনতেন, তাদের অনেকেই এখন পলাতক। আগে বড় নেতা থেকে শুরু করে পাতি নেতারাও গরু কিনতেন। এখন তারা নেই, বাজারেও আগের মতো চাঙ্গাভাব নেই।
ফেনীর সবচেয়ে বড় পশুর হাটের ইজারাদার জানান, গত বছরের তুলনায় এবার গরু কেনাবেচা অনেক কম। তবে শেষের দিকে বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।