পবিত্র ঈদুল আযহাকে ঘিরে দেশে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলা, নাশকতা ও অপ্রীতিকর কোন ঘটনার সুনির্দিষ্ট তথ্য আপাতত নেই বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এক সংবাদিক সম্মেলনে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল মো. কামরুল হাসান এ কথা জানান।
যে কোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে র্যাব প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে কর্নেল কামরুল হাসান বলেন, গোয়েন্দা তথ্য সমন্বয় করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য থাকলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই।
তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও র্যাব রাজধানীসহ সারাদেশ জুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যেকোনো ধরনের নাশকতা কিংবা হামলা হলে তা মোকাবেলায় র্যাবের স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো টিমকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া যেকোন আপোদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাবের এয়ার উইং হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঈদে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, সব ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশজুড়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারপরও প্রস্তুতি হিসেবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার জগতে মনিটরিং বৃদ্ধির মাধ্যমে যে কোন ধরনের জঙ্গী হামলা মোকাবেলা করতে তারা বরাবরের মতো প্রস্তুত রয়েছে।
এ বিষয়ে কামরুল হাসান বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং করা হবে। এছাড়া থাকবে র্যাবের স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স, ফুট ও মোবাইল পেট্রোল, ভেহিক্যাল স্ক্যানার, অবজারভেশন পোস্ট, চেকপোস্ট ও সিসিটিভি মনিটরিং।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, বিগত দুই বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনা মহামারি চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের জন্যও তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা ছাড়াও সব মেট্রোপলিটন শহর, জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহের রাস্তায় চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে। জেলা শহরে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স রিজার্ভ থাকবে।
এসময় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদরদপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, র্যাবের আইনও গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা, বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তাসহ উধর্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।