বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

উইঘুর মুসলিম ইস্যুতে কানাডায় ‘ঐতিহাসিক বিল’ পাশ, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন

-বিজ্ঞাপণ-spot_img
- বিজ্ঞাপণ-

চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ব্যাপারে ঐতিহাসিক একটি বিল পাস করেছে কানাডা সরকার। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে চরম দমনপীড়নের শিকার মুসলিমদের মধ্যে থেকে কানাডায় আশ্রয় নেওয়া একাংশকে পুনর্বাসনের বিষয়টি এ বিলে প্রাধান্য পেয়েছে৷ এর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ জানিয়েছে দেখিয়েছে বেইজিং।

সম্প্রতি এম-৬২ নামক একটি বিল পাস করেছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। এ বিলে মূলত জিনজিয়াং থেকে দেশটিতে পালিয়ে যাওয়া ১০ হাজার উইঘুর মুসলিমকে কানাডায় পুনর্বাসন করা হবে। আগামী দুই বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের এ অংশের পুনর্বাসন করা হবে।

বার্তা সংস্থা দ্য জেনেভা ডেইলির বরাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১ জানুয়ারি কানাডার পার্লামেন্ট হাউস অব কমন্সে বিলটি ৩২২-০ ভোটে পাস হয়। এতে বলা হয়, উইঘুররা চীনে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় চাপ ও ভয়ভীতির সম্মুখীন হয়। কারণ সেখানে তাদের নির্বিচার আটক, শিশুদের তাদের পিতামাতার কাছ থেকে ব্যাপকভাবে বিচ্ছিন্নকরণ, জোরপূর্বক বন্ধ্যত্বকরণ, শ্রমে বাধ্যকরণ, নির্যাতন এবং অন্যান্য নৃশংসতার গুরুতর ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়।

লিবারেল পার্টির সদস্য সামীর জুবেরি এ বিলটির উত্থাপক। তিনি প্রস্তাব পাসের এ ঘটনাকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে জুবেরি বলেন, ‘এই বিল পাসের ঘটনা স্পষ্টভাবে এটাই প্রমাণ করে যে, উইঘুর জনগণের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনকে আমরা গ্রহণ করি না।’

বিলটিতে এ অভিযোগও করা হয়েছে যে, সবচেয়ে বেশি উইঘুর বসবাস করা তুরস্ক, কাজাখস্তান ও কিরগিস্তানের ওপর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করছে বেইজিং, যাতে তাদের (উইঘুর) গ্রেফতার করে চীনের মতো অনিরাপদ স্থানে হস্তান্তর করা হয়।

২০২১ সালে উইঘুরদের ওপর চীন রাষ্ট্রীয়ভাবে গণহত্যার অভিযোগ আনা দেশ হিসেবে কানাডাই প্রথম।

কানাডার এমন পদক্ষেপে নিজেদের অবস্থান থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে  চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বৃহস্পতিবার বলেন, জিনজিয়াং ইস্যুকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে অটোয়া বিভ্রান্তি ছড়ানোর মাধ্যমে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে।

- Advertisement -

জেনেভায় জাতিসংঘে চীনা মিশনের সিনিয়র কর্মকর্তা জিয়াং ডুয়ান বলেছেন, ঐতিহাসিকভাবে কানাডা আদিবাসীদের জমি লুট, তাদের হত্যা এবং তাদের সংস্কৃতি নির্মূলকরণের সঙ্গে জড়িত।

চীনা কর্তৃপক্ষ প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে ডিটেনশন ক্যাম্পে (বন্দিশিবির) আটকে রেখেছে। তাদের দিয়ে বিভিন্ন পণ্য উৎদপাদন করানো হয়। কিন্তু তাদের না আছে কোনো স্বাধীনতা, কিংবা অবসর। একইসঙ্গে চীনা শিক্ষণের মাধ্যমে তাদের জোরপূর্বক কমিউনিস্ট জনগণের উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে অভিযোগ।

শেয়ার করুন
- Advertisement -

সর্বশেষ নিউজ

বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ছেন সাকিব, থাকছেন কারা?

বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলে নিয়মিত থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে খেলায় তার অনিয়মিত অংশগ্রহণ এবং ব্যক্তিগত কারণেই প্রায় ১৭ বছর...

২৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ : গ্রেপ্তার  ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান

ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের বিরুদ্ধে থাকা প্রায় ২৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলার তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন...

কলকাতায় বিমানবন্দরে আগুন!

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, ঝালাইয়ের কাজ চলাকালীন বিমানবন্দরের একটি ফ্লেক্সে আগুন ধরে যায় এবং বেশ কিছুটা অংশে তা ছড়িয়ে...

আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না: সালাহউদ্দিন

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চালানোর ক্ষমতা থাকবে না—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, আমরা আওয়ামি লীগের বিরুদ্ধে তাদের গণহত্যা...

সম্পর্কিত নিউজ

বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ছেন সাকিব, থাকছেন কারা?

বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলে নিয়মিত থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে...

২৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ : গ্রেপ্তার  ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান

ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের বিরুদ্ধে থাকা প্রায় ২৮ কোটি টাকার অবৈধ...

কলকাতায় বিমানবন্দরে আগুন!

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, ঝালাইয়ের কাজ চলাকালীন বিমানবন্দরের একটি...