সাতক্ষীরায় ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা তৃতীয় শ্রেণির বই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার ঠিক একদিন পরই ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে। তবে কেন ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে এর কারণ বলছেন না জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কেউ।
তবে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দাবী, ছাপায় ভুল ছিল তাই ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে বইটি। সংশধোনের পর তা আবার বিতরণ করা হবে।
সাতক্ষীরা সদরের টাউন সুলতানপুর সরকারী বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে দেখা মেলে স্তূপ করে রাখা তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের।
বিতরণের পরই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে বইটি। কারণ জানতে ঘটনাস্থলে থাকা স্কুলের কর্মচারীদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায়, ডিসি, ইউএনও ও টিওর নির্দেশ মোতাবেক বিতরণ করা তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইটি ফিরিয়ে নিয়ে এখানে জমা রাখছেন তারা।
সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, সকাল ৯টা থেকে জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বইগুলো জমা দিয়ে যাচ্ছেন। এর ভেতর যতগুলো সরকারি বিদ্যালয়ে এই বই গিয়েছিলে তা ফেরত নেয়া সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে তৃতীয় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইটিতে কি ভুল আছে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন জেলার শিক্ষা কর্মকর্তারা। তবে তারা জানালেন জেলা জুড়ে বইটি তুলে নেয়ার কাজ চলছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী জানান, এটা তার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তবে বইটি ফেরত নিতে জেলার সব উপজেলায় আলাদা আলাদা ভাবে কাজ চলছে।
স্থানীয় প্রশাসনের ভাষ্য, ত্রুটি পাওয়ায় বইটি ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে। সংশোধনের পর তা আবারও বিতরণ করা হবে।
সাতক্ষীরা সদরের ইউএনও শামীম ভূইয়া বলেছেন, কিছু ভুল পাওয়া গেছে, তাই বইটি তুলে নেয়া হয়েছে। পরে ভুল ঠিক করে আবারও তা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরায় স্কুলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৯৪টি। এইসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১০ লাখের বেশি।
এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরায় ৫৫টি বইয়ে এই ভুলটি হয়েছে। বইগুলো ফেরত নেওয়া হচ্ছে। এটা ভুলবশত হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বইগুলো সংশোধন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পরে এ নিয়ে অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। ইতোমধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কাজ করছে প্রশাসন।