বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধে আজও যাত্রীশূন্য মহাখালী বাস টার্মিনাল। উপায় না পেয়ে টানা লোকসান ঠেকাতে অনেকেই খালি গাড়ি টার্মিনাল থেকে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে। চলতি পথে সড়কের বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ড থেকে হয়তো যাত্রীর দেখা পাওয়ার আশা তাদের।
তবে সবাই এমন নিশ্চিত লোকসানের পথে যেতে রাজি নন। তাদের মধ্যে শঙ্কা সামনের দিনগুলো নিয়ে। এমন অবস্থায় নিজেদের খাওয়া খরচ মেটাতেও ঋণ করা লাগছে বলে জানান পরিবহন শ্রমিক ও স্টাফরা।
মহাখালী বাস টার্মিনালে থাকা বাস চালক-শ্রমিকরা বলছেন, যেখানে সকাল থেকেই ভরপুর যাত্রীর চাপে অনেক গাড়ি ছেড়ে যেত সেখানে মাত্র সাত-আটটি গাড়ি ছেড়েছে, তাও ফাঁকা। নিশ্চিত লোকসান জেনেও বের হতে হয়েছে। এমন অবস্থায় দৈনিক বাস রক্ষণাবেক্ষণ এবং স্টাফ শ্রমিকদের খাওয়া খরচ মালিকদের এবং শ্রমিকদের হিমশিম খাওয়াচ্ছে।
এক বাস চালক জানান, প্রতি ট্রিপে ১৮ হাজার টাকা না উঠলেই লসে পড়তে হয় তাদের। তাই ৬-৭ জন যাত্রী নিয়ে বাস ছাড়া তাদের জন্য কিছুটা সমস্যার। এরইমঝে সাংসারিক খরচ মেটাতে ঋণ করার কথাও জানান অনেকে।
একই অবস্থা কুলি এবং টার্মিনালের খুচরা বিক্রেতাদের। কুলির কাজ করা একজন বলেন, বাস টার্মিনালে আসা যাত্রীদের ব্যাগ-পত্র টেনে যে টাকা আয় হয় সেটা দিয়ে সংসার চলে। এখন পর্যন্ত ১০ জন যাত্রীও আসেনি। আমরা কীভাবে চলবো কীভাবে কি করব সেটিই বুঝতে পারছি না। এভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে।
আবার পানি বিক্রেতাদের বক্তব্য, সাধারণ দিনে সকাল থেকে চার থেকে পাঁচ কেস পানি বিক্রি করা যেত। তবে এখন দুপুর হয়ে এলেও দুই বোতল পানিও বিক্রি হয়নি। দৈনিক খাবার খরচের টাকা জোগাড় করতেই কষ্ট হচ্ছে এখন তাদের।