১০৫ দিন পর অবশেষে কারামুক্ত হয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৪টায় তিনি মুক্তি পান।
জামিনের কপি ও প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের চিঠি পৌছলে কেরানীগঞ্জের কারা কর্তৃপক্ষ তাকে মুক্তি দেন।
এর আগে বিকেল ৩ টায় কারামুক্ত হন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খসরুর মুক্তির খবর পেয়ে আগে থেকেই কারাফটকে অবস্থান করছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তিনি বেরিয়ে এলে নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
আমির খসরু কারাগার থেকে বেরিয়ে একটি কালো পাজেরো গাড়িতে করে বাসার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় তিনি ছাদখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দেন। নেতাকর্মীরা এ সময় তাকে উদ্দেশ্য করে গোলাপের পাঁপড়ি ছিটিয়ে দেন।
এ সময় আমির খসরুর সঙ্গে ছিলেন ছেলে ইসরাফিল।
২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।
এ ঘটনায় ২ নভেম্বর রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।