প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটাই দুঃখ, হলে গিয়ে সিনেমা দেখার সৌভাগ্য হয় না। তবে আমি যখন প্লেনে চড়ি, তখন বাংলাদেশের সিনেমা দেখি। এবার সাউথ আফ্রিকা যাওয়ার সময় পরপর দুটি সিনেমা দেখেছি।’
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
একটানা সিনেমা দেখার সময় না থাকায় আক্ষেপ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মাঝে মধ্যে অনেকে আমাকে পেনড্রাইভ পাঠায়। তখন সময় মতো একটু (সিনেমা) দেখি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রীয় কাজ ও ফাইল পড়ে পড়ে ব্যস্ত সময় কাটে। ১৭ কোটি মানুষের বোঝা আমার কাঁধে। তাদের জন্য কাজ করে—আর ফাইল দেখতে দেখতে সময় চলে যায়। এই বৃদ্ধ বয়সে এসে এত পড়া যে পড়তে হবে—তা কখনো ভাবিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চাই না সিনেমার পাইরেসি হোক, অশ্লীল সিনেমা তৈরি হোক। আমাদের অনেক পুরাতন সিনেমা আছে, যেগুলোর ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। আমরা ফিল্ম আর্কাইভ ভবন নির্মাণ করে দিয়েছি। এর মাধ্যমে পুরাতন সিনেমাগুলো পুনরুদ্ধার করে ডিজিটাল পদ্ধিতেতে এখন মানুষকে দেখানোর সুযোগ এসেছে। এগুলো দেখলে মানুষ অনেক তথ্য জানতে পারবে।’
এ অনুষ্ঠানে যুগ্মভাবে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে অভিনেতা খসরু ও চিত্রনায়িকা রোজিনাকে। দেশের বাইরে থাকায় খসরুর পুরস্কার নেন অভিনেতা আলমগীর।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সচিব হুমায়ুন কবির খন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।