মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার লাতু সীমান্ত দিয়ে আরও ১২ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শনিবার (১৪ জুন) সকালে তাদের পুশইন করা হয়। যাদের পুশইন করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১ জন পুরুষ ৪ জন নারী ও ৭ জন শিশু রয়েছে। আটককৃতদের সবাই রোহিঙ্গা বলে জানায় বিজিবি।
একইদিনে পঞ্চগড়ে পৃথক দুই সীমান্ত দিয়ে ৪ ভারতীয় ও ১২ বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে তাদের পঞ্চগড় সদর থানা ও তেতুঁলিয়া থানায় জিডি মূলে হস্তান্তর করে বিজিবি।
শনিবারের পর সবমিলিয়ে মৌলভীবাজার জেলায় পুশইনের ঘটনায় ৩৬২জন বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বড়লেখা উপজেলা দিয়ে ২৭৬ জনকে পুশইন করা হয়।
বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী হাসান ১২ জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তথ্য যাচাই-বাছাই করে তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে আমাদের মনে হয়েছে তারা সবাই রোহিঙ্গা।

এদিকে শনিবার ভোরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের মিস্ত্রি পাড়া ও তেতুঁলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের পেদিয়াগছ সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করা হয়। পুশইন হওয়া ১৬ জনের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ৬ জন নারী ও ৪ জন শিশু রয়েছে। তারা খুলনা, মেহেরপুর, নড়াইল ও যশোর জেলার বাসিন্দা।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার আটক হওয়া ১১ জনের মধ্যে ৭ জন বাংলাদেশি পরিচয় নিশ্চিতের পরে তাদের পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের হেফাজতে থানা পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের পাহাড়ায় রাখা হয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
এছাড়া আটক ৪ ভারতীয় নাগরিককে মিস্ত্রিপাড়া বিজিবি ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠকের মাধ্যেমে ভারতে ফেরত পাঠানোর কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।