দেশের খেলাধুলায় সাফল্যের ছোঁয়া বলতে গেলেই নারী ফুটবলারদের সাফল্যের কথা উঠে আসবে। ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। আর সেই সাফল্যের স্বীকৃতি পাচ্ছে বাংলার মেয়েরা। অসামান্য এমন সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ এবার একুশে পদক পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।
২০২২ সালে প্রথমবারের মত সাফ জয়ের পর গত বছরও সাফে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাবিনা খাতুনরা।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ১৪ নাগরিক এবং বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে একুশে পদক ২০২৫ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এ তথ্য জানান।
একুশে পদক ২০২৫ এর জন্য মনোনীত ব্যক্তিরা হলেন— আজিজুর রহমান (মরণোত্তর)—শিল্পকলা (চলচ্চিত্র); উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর)—শিল্পকলা (সংগীত); ফেরদৌস আরা—শিল্পকলা (সংগীত); নাসির আলী মামুন—শিল্পকলা (আলোকচিত্র); রোকেয়া সুলতানা—শিল্পকলা (চিত্রকলা); মাহফুজ উল্লা (মরণোত্তর)—সাংবাদিকতা; মাহমুদুর রহমান—সাংবাদিকতা ও মানবাধিকার; ড. শহীদুল আলম—সংস্কৃতি ও শিক্ষা; ড. নিয়াজ জামান—শিক্ষা; মেহেদী হাসান খান—বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি; মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর)—সমাজসেবা; হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর)—ভাষা ও সাহিত্য; শহীদুল জহির (মো. শহীদুল হক) (মরণোত্তর)—ভাষা ও সাহিত্য; মঈদুল হাসান—গবেষণা।
এ ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে ক্রীড়া বিভাগে মনোনীত করা হয়েছে।
এদিকে নিজেদের এমন স্বীকৃতির পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সাবিনা খাতুন বলেন, ‘একুশে পদক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পুরস্কারের জন্য আমাদের মনোনীত করায় সরকারের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমাদের এই পুরস্কার শুধু নারী দল নয়, পুরো ক্রীড়াঙ্গনকে উজ্জীবিত করবে বলে মনে করি।’