ভারতের নির্বাচনে নাটকীয় মোড় নিতে দেখা গিয়েছে। শুরুতে প্রাথমিক ফলাফলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটকে অনেকটা এগিয়ে রাখা হলেও ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে অন্য চিত্র। এএফপি, বিবিসিসহ একাধিক বিদেশি গণমাধ্যমের দাবি, এখনই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না বিজেপি। এমনকি ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেও বিজেপির পতনে ইঙ্গিত দিচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের পত্রিকা আনন্দবাজারও নিজেদের প্রাথমিক ফলাফলের খবর থেকে অনেকটা সরে এসেছে। তারা বলছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি।
ভারতীয় সময় বেলা সাড়ে এগারোটায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে যে সবশেষ ফলাফল বা ‘ট্রেন্ড’ দেখা যাচ্ছে, তাতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেকটা পিছিয়ে আছে।
মোট ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি এককভাবে জিতেছে বা এগিয়ে আছে মোট ২৩৭টি আসনে, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে অন্তত ৩৫টি কম। এরপরই সবচেয়ে বেশি আসনে এগিয়ে আছে কংগ্রেস – ৯৭টি। কংগ্রেস ২০০৯ সালের নির্বাচনের পর এবার তাদের সেরা ফল করতে চলেছে, এটা বেশ স্পষ্ট।
বিজেপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত উত্তর প্রদেশে লড়াই ক্রমশ বাড়ছে। প্রথমে বিজেপি ৪০টি আসনে এগিয়ে থাকলেও সমাজবাদী পার্টির ঝুলিতে এগিয়ে থাকা আসনের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সমাজবাদী পার্টি এগিয়ে রয়েছে ৩৬টি আসনে এবং বিজেপি এগিয়ে ৩৩টিতে। মূলত এই দুই দলের মধ্যেই লড়াইটা চলছে।
নরেন্দ্র মোদি যখন “আব কি বার, চারশ পার” (এবারে চারশ ছাড়িয়ে যাব) স্লোগান দিয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন, তখন তিনি তার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের জন্য ৪০০ টিরও বেশি আসনে জয়ী হওয়ার লক্ষ্য রেখেছিলেন।
সবচেয়ে আশাবাদী বুথ ফেরত জরিপও পূর্বাভাস দিয়েছিল যে তার জোট ৪০০ আসনে জয়ী হবে।
যাইহোক, প্রাথমিক ভোট গণনা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনে বিরোধী মধ্য বামপন্থী ইন্ডিয়া জোটের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে।
ভারতের ৫৪৩ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন। এনডিএ ওই পর্যন্ত পৌঁছাবে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশয় তৈরি হয়েছে।