রাজধানীর উত্তরায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এখনও বেঁচে আছেন পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাহিনীর এক সদস্য গণমাধ্যমকে এ নিশ্চিত করেছে, তৌকির এখনও বেঁচে আছেন; তার পালস পাওয়া গেছে। এর তাকে হেলিকপ্টার এমআই ১৭-তে করে রাজধানীর একটি হাসপাতালের সিসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে। বাহিনী কিংবা পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও তাকে ‘অফিসিয়াল কিংবা আন-অফিসিয়ালি ডেড’ ঘোষণা করা হয়নি। যদিও তাকে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ওই সদস্য আরও জানান, বিধ্বস্ত হওয়ার সময় ফ্ল্যাইটেই ছিলেন তৌকির; এটি ছিল তার প্রথম সোলো ফ্লাইট।
এদিকে তৌকিরের বন্ধু ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে লিখেছেন, গণমাধ্যমকর্মী থেকে শুরু করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এয়ার ফোর্সের বিধ্বস্ত প্লেনের পাইলট তৌকির এখনও মারা যায় নাই। অনেকক্ষণ পর তার খোঁজ পাওয়া গেছে। এখন মারাত্মক আহত অবস্থায় CMH-এ নেওয়া হয়েছে। সামনে কী হবে বলা যায় না, তবে এখন পর্যন্ত বেঁচে আছে। সবার কাছে বিনীত অনুরোধ, আমার এই বন্ধুর জন্য প্রাণখুলে দোয়া করতে থাকেন সবাই।
এর আগে উদ্ধার তৎপরতায় জড়িত ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও ২৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে; যাদের অধিকাংশই রাজধানীর জাতীয় বার্ন ইউনিটে। যদিও এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে বলে জানা গেছে। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরের দিকে মাইলস্টোন কলেজ এলাকায় বিমানটি বিধস্ত হয়।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা লিমা খান বলেন, আহত চারজনকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাইলস্টোন স্কুলের পাশে বিকট শব্দে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। দিকবিদিক ছুটাছুটি শুরু করে আশেপাশের সবাই। ছুটে আসেন স্থানীয় অনেক মানুষ। অন্যদিকে পাশে থাকা মাইলস্টোন শিক্ষার্থীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে নিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এতে যোগ দেন পাশে থাকা সাধারণ জনগনও।