ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় আলোচিত ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদকে অনুপ্রবেশকারী বলেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানী।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে একটি পোস্টে এই মন্তব্য করেছেন।
নিজের দেওয়া ফেসবুক পোস্টে গোলাম রাব্বানী লিখেন, ‘হারুন সাহেবের পিতা মাড়িয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আশাশুনি এর ইংরেজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জামাল উদ্দিন ও মাতা শেফালী বেগম উভয়ই জামায়াত সমর্থক। নানা মৃত বাবর আলী সানা একজন মুসলিম লীগার ও সক্রিয় জামায়াত নেতা ছিলেন। মামা- হুমায়ুন কবির, ও মিলন বিএনপি সক্রিয় কর্মী। এছাড়া, বাবা ও মায়ের পরিবারের সকল সদস্যগণ বিএনপি-জামায়াত সমর্থক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর জিয়া হল ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাকের রুমমেট ছিলেন (কক্ষ নং- ৩১০) এবং তার সাথে সক্রিয়ভাবে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে জিয়া হলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহযোগী হিসেবে ছাত্রলীগ তকমা লাগান।
তিনি একজন অনুপ্রবেশকারী হিসেবে নিজের আখের গোছানোসহ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি বিনষ্টে গোপনে কাজ পরিচালনা করছেন বলে স্পষ্ট প্রতীয়মান।
জামায়াত-বিএনপি পরিবারে একজন সদস্য ও ছাত্রদল কর্মী কিভাবে ডিএমপির গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়িত হয়ে ছাত্রলীগ নেতাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালানো, পাশবিক নির্যাতন সহ সরকারকে বিব্রত ও বেকায়দায় ফেলতে ক্রমাগত বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন, তা নিয়ে স্থানীয় ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ-হতাশা বিরাজমান!’
প্রসঙ্গত, শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে।
পরে রাতেই শাহবাগ থানার বাইরে জড়ো হয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনা মীমাংসা করেন।
এরপর রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) এডিসি হারুনকে ডিএমপি থেকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে তাকে এবিপিএনে বদলি করা হয়।