কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে মারধরের ঘটনা তদন্ত এবং দায়ী পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ সই করা এক আদেশে এটি বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, গণমাধ্যমে ‘থানায় নিয়ে ওসির কক্ষে এডিসির নেতৃত্বে মারধর’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদসহ একই বিষয়ে অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রতিবেদন মতে, রাজধানীর শাহবাগ থানার ওসির (তদন্ত) কক্ষে গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন–অর–রশীদের নেতৃত্ব ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। এমনকি, আরেকজন কেন্দ্রীয় নেতা তাঁদের খোঁজ নিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়েছে। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের অন্য নেতা–কর্মীরা গিয়ে থানা থেকে ওই নেতাদের উদ্ধার করেন।
মানবাধিকার কমিশন মনে করে, সংবাদ প্রতিবেদনে একজন পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক ব্যক্তিগত আক্রোশকে কেন্দ্র করে নিষ্ঠুরতা প্রদর্শনের মাধ্যমে পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক মানবাধিকার লঙ্ঘন করার চিত্র ফুটে উঠেছে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় একজন পুলিশ কর্মকর্তার এমন আচরণ আইন ও নীতিবিরুদ্ধ।
সংস্থাটি বলছে, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় একজন পুলিশ কর্মকর্তার এমন আচরণ আইন ও নীতিবিরুদ্ধ। কমিশন মনে করে তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন।
এ অবস্থায়, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও গৃহীত ব্যবস্থা কমিশনকে অবহিত করার জন্য সিনিয়র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।