বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, এত ভেজালের মধ্যে সুলতান’স ডাইন খুব সহীহ ব্যবসা করছে, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
সম্প্রতি এক ভোক্তা অভিযোগ করেন রাজধানীর গুলশানের অভিজাত রেস্তোরাঁ সুলতান’স ডাইন কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির মাংসের বদলে অন্য প্রাণির মাংস দিয়েছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠে। এ প্রেক্ষিতে গত শনিবার সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানির বিষয়ে ফেসবুকে নিজের মতামত প্রকাশ করেন তিনি।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘সুলতান’স ডাইন নিয়ে অনেক বেশি কথা হচ্ছে। আমি শুরুতে ভেবেছিলাম এটা নিয়ে কিছু বলব না। কারণ, সুলতান’স ডাইনে আমি কখনো যাইনি, খাওয়াও হয়নি। কিন্তু পরে মনে হলো বিষয়টি শুধু ফেসবুকে তর্ক-বিতর্ক বা যে ট্রল হচ্ছে, সেটার বাইরেও একটা বিষয় আছে। আমরা এখন যেকোনো বিষয় নিয়ে ট্রল করি। ট্রলের বাহিরে কোনো কিছু রাখি নাই।
‘সুলতান’স ডাইনের যে ট্রল চলছে ফেসবুকে, বিভিন্ন রকমের সেই ট্রলে সবাই অংশ নিচ্ছে। নির্বাচনের সময়ও আমরা ‘খুশিতে ঠেলায় ঘোরতে’ এমন বাক্যে একটি ট্রল দেখেছিলাম। একজন ভোটার যিনি ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন, যিনি আসলে ফলস লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা সাধারণ নাগরিক, আমরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি সরকারি সংস্থাগুলো তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে না। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কী তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে? আমরা কী খাচ্ছি এবং আমাদের খাদ্যে ভেজাল নিয়ে সংবাদের পর সংবাদ সংবাদমাধ্যমে আসছে। কোনোটার বিরুদ্ধে কী আমরা ব্যবস্থা নেয়ার কথা শুনেছি? উল্টো দেখা গেছে যেই ভেজাল চলছিল, সেই ভেজাল আরও চলছে। এতে সাধারণ মানুষের কিছু করার নেই।
সুলতানে কুকুর-বিড়ালের মাংস দেয়া হয় কি হয় না, সেই আলোচনায় যাব না উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ আমরা জানি না। কিন্তু এটাকে স্বতঃসিদ্ধ ধরে নিয়ে তর্ক করছি, ট্রল করছি। বিষয়টিকে অনেকে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে, সেখানে কুকুর বা বিড়ালের মাংস দেওয়া হয়। যারা বিশ্বাস করছে আমি তাদেরকে দোষও দিতে পারছি না। কারণ, এত ভেজালের মধ্যে সুলতান’স ডাইন খুব সহীহ ব্যবসা করছে, এটাও ভাবার কোনো কারণ নেই।
রুমিন ফারহানা বলেন, অনেক নামি প্রতিষ্ঠানে আমরা দেখেছি ভেজাল বিক্রি হতে। শুধু যে খাবারে ভেজাল তা না, প্রসাধনীতে ভেজাল, ওষুধে ভেজাল, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে ভেজাল। সুতরাং চারপাশে ভেজাল দেখতে দেখতে আমরা এতগুলো বছর পার করলাম। এর সমাধান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব, এটা আমরা ভুলতে বসেছি।