জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে গোপালগঞ্জে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে বর্ণনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি এসময় এনসিপির নেতাকর্মীদের প্রতি বলেন, “বাবারা রাজনীতির ময়দানে আরও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার জন্য আমরা পরামর্শ সবসময় দিয়েছিলাম, আজকেও দিচ্ছি… নসিহত করছি।”
বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয়বাদী যু্বদলের বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এনসিপির উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, “যেভাবে তোমরা যাচ্ছো, যেভাবে আমরা এই কর্মসূচির ধরন দেখছি, তাতে করে আমরা একটা ম্যাসেজ পাচ্ছি যে, কোনো না কোনো বাহানায় এমন কোনো অবস্থার সৃষ্টি করা, যাতে করে বলতে পারে যে, সরকার কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, এই সরকার নির্বাচন কীভাবে দেবে?
নির্বাচন কমিশন ‘নিরপেক্ষ নয়’ বলে এনসিপির বক্তব্য এবং শাপলাকে নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে তাদের বরাদ্দ দেওয়ার জন্য দাবি তোলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “জাতীয় প্রতীক ছাড়া কি বাংলাদেশে আর কোনো মার্কা ছিল না? এই প্রশ্ন তো আমরাও করতে পারি। যারা বলছেন, ধানের শীষও তো জাতীয় প্রতীকে আছে। কিন্তু ধানের শীষের মার্কাটা যেটা আছে, সেটা নির্বাচন কমিশনের তফসিলে আছে। সেই তফসিল অনুযায়ী বহু আগে, ১৯৭৮ সালের আগে সেই মার্কা বিদ্যমান ছিল, সেই মার্কা নিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ প্রশ্ন তোলে নাই।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ‘অবনতি’ হচ্ছে বলে বক্তব্যের প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, “সরকারের তো আপনারাই (এনসিপি) অংশ। কাদের আপনারা উদ্দেশ্য করে বলছেন? সরকারের যে অংশ আপনারা, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বাংলাদেশের মানুষ সবই জানে।
“আপনাদের দুইজন উপদেষ্টা বসে আছেন, দুই দিন পর তারা আপনাদের সাথে যোগ দেবেন। তারপরে আপনাদের সাথে নির্বাচন করবেন। এই দৃশ্য তো দেখার জন্য অপেক্ষা করছি… বাংলাদেশের জনগণ সবই বুঝে, সবই জানে।”
যুবদলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করীম পল বক্তব্য রাখেন।