আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বিরুদ্ধেই এবার একাধিকবার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে আইনমন্ত্রী আচরণবিধি ভেঙে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে নিয়ে তিনি কসবা পৌরমুক্ত মঞ্চে জনসভা করেন।
এর আগে বুধবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসেন বলে জানা গেছে। পরদিন বৃহস্পতিবার নেতা-কর্মীদের নিয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
এ সময় কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র এমজে হাক্কানী, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুল হক ভূঞা, পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কসবা পৌরমুক্ত মঞ্চে জনসভা করেন। এ সভাকে কেন্দ্র করে বন্ধ করে দেওয়া হয় পার্শ্ববর্তী সড়কের যান চলাচল। সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে উপস্থিত হন।
কসবার সভা শেষে বিকাল ৩টায় তিনি আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমার কার্যালয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এরপর আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের পাশে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় যোগ দেন তিনি। আইনমন্ত্রীর এ সভাকে কেন্দ্র করেও দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল স্টেশনের আশেপাশের সড়ক। এ সময় মন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রায় ৪৫০ শিক্ষার্থীকে হলুদ শাড়ি পরিয়ে সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, নির্বাচন হয় জনগণের অংশগ্রহণে। জনগণ যদি সেখানে ভোট দেয় কে নির্বাচনে আসল আর আসল না সেটা বড় কথা থাকে না। জনগণ চায় নির্বাচন হউক। সেজন্য নির্বাচন ঘিরে জনগণের মাঝে উচ্ছ্বাস ও আনন্দ দেখা দিয়েছে। সে কারণে নির্বাচন সফল হবে।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গ হওয়ার ব্যাপারে কিছু জানি না। আচরণবিধির জন্য আমাদের আলাদা ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে, তিনি যদি আমাদেরকে রিপোর্ট করেন অথবা কেউ যদি আচরণবিধি ভঙ্গের ব্যাপারে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ৮ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কোনো প্রার্থী কোনো ধরনের মিছিল কিংবা শোডাউন করতে পারবেন না।