বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এ ভোটের সময় বিভিন্ন কেন্দ্রে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ও তাঁর কর্মীদের বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থীর কর্মীদের মারধর ও ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে আওয়ামী লীগ বলেছে, হাতপাখার প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিম সদলবলে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আবুল খায়ের আবদুল্লাহর নৌকা প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. আফজালুল করিম রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, হাতপাখার প্রার্থী ফয়জুল করিম সদলবলে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। তাঁকে বাধা প্রদান করলে নৌকা প্রতীকের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। তাঁর হাতপাখা মার্কার কর্মীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন।
হাতপাখা প্রতীকের নারী কর্মীরা লাইন দাঁড়ানো নারী ভোটারদের ভোট দানে প্রভাবিত করেছেন। ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত দায়িত্বপ্রাপ্তদের অভিযোগ করলেও তারা অসহযোগিতা করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভোটদানের সময় হাতপাখা কর্মীদের বিরুদ্ধে কয়েকটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগও তোলা হয়েছে ওই অভিযোগপত্রে। এর মধ্যে ১ নম্বরেই রয়েছে ছাবেরা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। এই কেন্দ্রের বাইরেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এতে তিনিসহ তাঁর দলের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অভিযোগে হাতপাখা কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্য যেসব কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ তোলা হয়েছে সেগুলো হলো ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এ করিম আইডিয়াল কলেজ, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রূপাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাহামুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুরানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এ কে স্কুল ইনস্টিটিউশন।