এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভার ভেন্যু পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকায় নির্ধারিত হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সফর স্থগিত করার পর এসিসির সভাও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানায় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই।
তবে তাদের আবেদনে সাড়া না দেওয়ার অভিযোগ এসিসির সভাপতি মহসিন নাকভির বিরুদ্ধে এনেছে বিসিসিআই। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এই তথ্য।
এদিকে চলতি বছরের এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ছয়দলের এই টুর্নামেন্টের আয়োজক ভারত। কিন্তু এসিসি এখনও এশিয়া কাপের সূচি কিংবা ভেন্যুর ঘোষণা দেয়নি। এরই মাঝে অনানুষ্ঠানিকভাবে এশিয়ান ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই প্রতিযোগিতা সেপ্টেম্বরে হতে পারে খবর বেরোয়। যা নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে এসিসির বার্ষিক সভায়। আগামী ২৪ জুলাই ঢাকায় এই সভা হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিবেশি দেশ ভারতের রাজনৈতিক বৈরিতা তৈরি হওয়ায় তারা এসিসির এজিএম ভেন্যু নিয়ে আপত্তি জানায়। এদিকে, এসিসির প্রধান একইসঙ্গে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পিসিবির সভাপতি মহসিন নাকভি। তিনি বিসিসিআইয়ের আবেদনে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি বলে দাবি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। সে কারণেই নাকি বিসিসিআই এসিসি আসন্ন সভা বয়কটের চিন্তা করছে।
অন্য আরেকটি সূত্র এএনআই–কে জানিয়েছেন, ‘যদি ঢাকা থেকে এসিসি সভার ভেন্যু সরানো হয় তবেই এশিয়া কাপ হবে। এসিসি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি বিষয়টি নিয়ে ভারতের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ প্রয়োগ করতে চাচ্ছেন। আমরা তাকে ভেন্যু পরিবর্তনের অনুরোধ জানিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়াই পাইনি এখনও। শেষ পর্যন্ত যদি মহসিন ঢাকায় সভাটির আয়োজন করেন বিসিসিআই সেটি বয়কট করবে।’
যে হুঁশিয়ারি শোনা যাচ্ছে, শেষ পর্যন্ত বিসিসিআই সেই পথে হাঁটলে এশিয়া কাপ আয়োজনের সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যেতে পারে। এর আগে সর্বশেষ ২০২৩ এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান হলেও ভারতের কারণে তা অনুষ্ঠিত হয় হাইব্রিড মডেলে। যেখানে রোহিত-কোহলিরা ম্যাচ খেলেন শ্রীলঙ্কায়। সেখানেই তারা স্বাগতিক লঙ্কানদের হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জেতে। একইভাবে চলতি বছর পাকিস্তানের মাটিতে হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও আয়োজন করা হয় হাইব্রিড মডেলে। ভারতের ম্যাচসহ টুর্নামেন্টের ফাইনালও হয়েছে দুবাইতে।