দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপ শুরু হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ সংলাপ শুরু হয়েছে।
সংলাপের উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে এই সংলাপে বসেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ ও উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউলাহ, রুহুল কুদ্দুস কাজল; জামায়াতের নায়েব আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ আবু তাহের, হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান; এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার; এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ; গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর; জাতীয় গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস; ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন রাজী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান; জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি এবং খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদেরসহ প্রায় ২৮ রাজনৈতিক দলের নেতারা।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, এই সংলাপের মাধ্যমে জুলাই সনদ চূড়ান্ত রূপ পেতে পারে।
আজকের আলোচনায় ৩০ টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচারবিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে কমিশনগুলো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়। সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
পুলিশ সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচটি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি প্রস্তাব ছক আকারে দলগুলোর কাছে পাঠিয়ে মতামত নেয় কমিশন। এরপর গত ২০ মার্চ থেকে দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে প্রথম পর্বের আলোচনা শুরু হয়। প্রথম পর্বের আলোচনা শেষ হয় ১৯ মে। প্রথম পর্বে ৩৩টি দলের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন।