আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় পদ হারানোর ভয়ে মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে গুলশানের লেকশোর হোটেলে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) আয়োজিত ‘সত্যনিষ্ঠ সাহসী সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সংগ্রাম ও সাংবাদিকতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অসুস্থতা তো আছেই, তিনি এখন মানসিক অসুস্থতায়ও ভুগছেন। কখন তার সাধারণ সম্পাদকের পদ চলে যায়! বিএনপির যদি আন্দোলনের বারোটা বাজে তাহলে আপনি আশঙ্কা করছেন কেন? তাহলে কী ঘটনা আছে?
বিএনপি এই সিনিয়র নেতা বলেন, আপনারা যে দুর্বল হয়ে গেছেন, গণবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন, আপনাদের যে কোনো ধরনের জনভিত্তি নেই, আপনারা সেই আশঙ্কা করছেন। কিন্তু কথা বলছেন উল্টো। নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার জন্য এই কথাগুলা বলছেন।
তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব চারদিকে পুলিশ পরিবেষ্টিত, র্যাব পরিবেষ্টিত থাকেন। বিএনপির কর্মসূচি হলে নির্দ্বিধায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আক্রমণ- গুলি করতে দ্বিধা করে না। গত বছরের আগস্ট থেকে এই বছরের আগস্ট পর্যন্ত আমাদের ২০ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। অনেকে চোখ হারা, কারো হাতের কবজি কাটা, কেউ কেউ পা হারাচ্ছে, অনেকের গোটা শরীর গুলিতে ক্ষতবিক্ষত।তারপরও জাতীয়তাবাদী শক্তি এখনও রাস্তায়,গণতন্ত্রগামী মানুষ রাস্তায়।
তিনি আরও বলেন, এত বাধার মুখেও আপনারা দেখেছেন, গতকাল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে যে ঢেউটা নেমেছিল এসব দেখে ওবায়দুল কাদের সাহেব এক ধরনের বিভ্রান্তিতে ভুগছেন। ডিমেনশিয়া বলে একটি রোগ আছে। একটু আগে যে কথা বলেন, তারপর তা ভুলে যান।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এখনও সময় আছে, খুব দ্রুত তত্ত্বাবধায়ক সরকার জনদাবি মেনে নিন। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। সুষ্ঠু নির্বাচন চাওয়াটা কোনো ষড়যন্ত্র নয়। এটা জনগণের দাবি, জনগণ এটা চায়।