ইসলামের কথা বলে ফেতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে ধর্মের বদনাম ও অমঙ্গলে জড়িতদের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘ইসলামের কথা বলে যারা হত্যাকাণ্ড ঘটায় ও মানুষের হাত-পায়ের রগ কাটে, তারা ইসলামের বন্ধু নয়, শত্রু। কোনো যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে এই দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অথচ অনেকে ওলি-আউলিয়াদের বিরুদ্ধে কথা বলে। তারা আসলে ফেতনা সৃষ্টিকারী।’
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রবিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আনজুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারিয়ার আয়োজনে শান্তি মহাসমাবেশ ও শোভাযাত্রায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাইজভান্ডারিয়া নেতা আল্লামা শাহ সূফী সৈয়দ মঈনুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে ও ত্বরীকত হজরতুলহাজ্ব শাহ সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদের পরিচালনায় সমাবেশে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইসলামের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা যা করেছেন, বঙ্গবন্ধুর পরে আর কোনো সরকার বা নেতা তা করেননি।
ইসলামের কল্যাণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-কন্যার নির্দেশে সারাদেশে এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা হয়েছে, যেখানে শিক্ষকরা মাসিক ৫ হাজার ২০০ টাকা করে ভাতা পান। জেলা-উপজেলায় ৬০০ মসজিদ নির্মিত হয়েছে ও হচ্ছে। তিনি কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেয়ার পর তাদের অনেকেরই সরকারি চাকরি হয়েছে।’
মহানবীর (সা.) জন্মদিন ঈদে মিলাদুন্নবী সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য আনন্দের দিন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যাতে পূর্ণ অধিকার নিয়ে তাদের নিজের দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে এবং ফিলিস্তিনিরাসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন ও তাদের কষ্ট যাতে দূর হয় সে জন্য মহান স্রষ্টার দরবারে ফরিয়াদ জানাই।’
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু। উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোহম্মদ ফরিদুল হক খান।