ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘ইত্যোমধ্যে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সিটি কর্পোরেশনের সাথে আলোচনা চলছে। রাত ১২টার ওষুধের দোকান বন্ধের কোন নির্দেশ আমরা দেইনি। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে দেশের হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা হল জরুরি সেবা। আমরা কোন হাসপাতালের টাইমিং কমাইনি। আমরা ২৪ ঘণ্টা সেবা বজায় রেখেছি৷ শুধু অফিস কেন্দ্রিক বা সিভিল সার্জন অফিস, সেখানে ৮-৩টা করেছি। তাছাড়া সকল হাসপাতাল তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সেখানে সময়টা অপরিবর্তিত থাকবে এবং ওষুধের দোকানের বিষয়ে আমরা বন্ধ করার জন্য কোন নির্দেশনা দেইনি।
তিনি বলেন, ‘ওষুধ একটি জরুরি প্রয়োজনীয় বিষয়। যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান যারা জরুরি সেবা দিয়ে থাকে, সাধারণত বন্ধ রাখা হয় না। ফার্মেসিগুলো কিন্তু ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে। এ বিষয়ে আমরা কোন নির্দেশনা দেইনি। সিটি কর্পোরেশন যদি এ বিষয়ে কিছু করে থাকে, আমরা তাদের সাথে আলোচনা করে একটা সুরাহা অবশ্যই করব। আমি মনে করি এটা ২৪ ঘন্টা খোলা থাকা প্রয়োজন।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যখনই শুনেছি তখন থেকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। খোলা ইনশাআল্লাহ থাকবে আমরা মনে করি। উনারা হয়তো বলেছিল রাতের বিষয়। এ বিষয়টা অবশ্যই আলোচনার প্রয়োজন থাকে। উনারা একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছে, যে সিদ্ধান্ত আমাদের সাথে আলোচনা করে দেয়া হয়নি৷ আমরা আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আমরা আমাদের কর্মকর্তাদেরকে বলেছি, আলোচনা করে এটাকে সরাহা করার জন্য।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ওষুধের দোকানতো বন্ধ হয়নি। এটাতো গতকালকের বিষয়৷ এক সপ্তাহ পার হয়নি। গত পরশু ক্যাবিনেটে এটা আলোচনা হয়েছে। গতকালকে হয়তো এ বিষয়টি বলেছে৷ এ বিষয়ে আমরা গতকালই জেনেছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা বলেছি। ওষুধের দোকান বন্ধ থাকবে না, খোলা থাকবে। কারণ এটা একটা প্রয়োজনীয় জিনিস। যেভাবে হাসপাতাল খোলা থাকবে, সেভাবে ওষুধের ব্যবস্থাও থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি হাসপাতালেতো ওষুধ সরাসরি যায়। সেখানেতো বন্ধ থাকার কোন সুযোগ নেই৷ ফার্মেসিগুলোর কথা হয়তো বলেছে, এ বিষয়ে আমরা, সেটাকেও খোলা রাখার আমরা ব্যবস্থা নেব।
এর আগে ২২ আগস্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সাধারণ ওষুধের দোকান রাত ১২টা পর্যন্ত এবং হাসপাতাল সংলগ্ন নিজস্ব ওষুধের দোকান রাত দুইটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
এতে বলা হয়, শপিংমল, সব ধরনের দোকানপাট, ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কাঁচাবাজার, মার্কেট ও স্থাপনা রাত ৮টায় বন্ধ করতে হবে। খাবার দোকান ও রেস্টুরেন্ট রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। তবে রাত ১১টা পর্যন্ত খাবার সরবরাহ করা যাবে।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এসব নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।