মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা কতজন রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন বা ভোটার করা হয়েছে- তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কতজন রোহিঙ্গা কক্সবাজারে নাগরিকত্ব পেয়েছেন, ভোটার হয়েছেন তা খুঁজে বের করার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়।
একই সঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়।
এছাড়া ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ঘোষিত তফসিলে নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয়।
গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া স্থানীয় ভোটার হামিদুর রহমানের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন। রিটের প্রেক্ষিতে আজ বুধবার আদেশ দিলেন উচ্চ আদালত।
রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশনের সচিব, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপরসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির জান্তা বাহিনীর গণহত্যায় প্রাণভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের রাখা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার আশ্রয় শিবিরে। তবে মাঝে মাঝেই সংবাদ আসে- রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের সহায়তায় বাংলাদেশের ভোটার হচ্ছে।
রোহিঙ্গারা বলছে, তাদের কেউ কেউ বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দেশেও চলে গেছে। কেউ আবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসা করছে।