কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইসলামাবাদ এলাকায় গুলিতে হাবিবুল হুদা নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দু রাজ্জাকের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে ইসলামাবাদ পাহাশিয়াখালী সিকদার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন নিহতের স্ত্রী খুশিদা বেগম, ছেলে আবিদুল হুদা এবং আমেনা বেগম।
নিহতের স্ত্রী খুশিদা বেগম জানান, জুমার নামাজের পর চেয়ারম্যান রাজ্জাককে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তার ছেলেকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে তারা চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে গেলে, বাড়িতে গিয়ে গুলি চালায় চেয়ারম্যানের অনুসারীরা।
তিনি বলেন, “গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আমার স্বামীকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় চেয়ারম্যান সন্দেহ করেন যে, তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার পেছনে নিহতের পরিবারের ভূমিকা আছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে চেয়ারম্যান আগুন দিয়ে বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন।
আহত আমেনা বেগম অভিযোগ করেন, “চেয়ারম্যান প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
নিহতের ছেলে ও ছাত্র প্রতিনিধি সাইদুল হুদা জানান, চেয়ারম্যান ছাত্রদের বিভিন্ন কাজে বাধা দিতেন এবং একাধিকবার হুমকি দিয়েছেন। সর্বশেষ হামলায় তার বাবাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।