শুধমাত্র নির্বাচন কমিশন সদস্যদের ওপর ভরসা করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না উল্লেখ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। কমিশনের সদস্যরা সরকারের আজ্ঞাবহ হবে না। সরকারের পক্ষ থেকে তেমন চাহিদাও হয়তো থাকবে না।
এসময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কিন্তু কমিশন সদস্যরা সৎ থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলো কি সৎ থাকবে?
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইলেক্ট্রনিকট ভোটিং মেশিন ইভিএম যাচাই নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন।ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে এই মতবিনিময় করছে ইসি। দুই দফা সংলাপে ২৬ দলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও উপস্থিত হয়েছে ১৮টি দল।
আজ দ্বিতীয় দফায় বিএনপিসহ ১৩টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ৮টি রাজনৈতিক দল ইসির ডাকে সাড়া দেয়। বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) ইসির আমন্ত্রণ বর্জন করে।
এছাড়াও তৃতীয় দফায় আগামী ২৮ জুন আওয়ামী লীগসহ আরও ১৩টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবে নির্বাচন কমিশন।
নিবন্ধিত ৩৯টি দলের প্রত্যেককে আমন্ত্রণ জানানোর কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, শতভাগ সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবে ইসি। সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কোনো কাজ করবো না, সরকারও চাইবে না ইসি আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করবে। সবার সর্বাত্মক চেষ্টা লাগবে।
কমিশন সদস্যদের কথা উল্লেখ করে উপস্থিত দলগুলোর প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, কমিশনে মাত্র ৪/৫ জন লোক। কমিশনের ওপর ভরসা করলে নির্বাচনটা সুন্দর হবে না। দলগুলোর দায়িত্ব আরও অনেক বেশি।
সিইসি বলেন, শতভাগ আমি সৎ থাকবো, আমার চারপাশে যারা আছে-যাদের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেই, আপনারা রাজনৈতিক দল, সরকার, সরকারি দল। তারাসহ সবাই কি আপনারা হান্ড্রেড পারসেন্ট সৎ থাকবেন?
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আছে বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত শুনছি। তাদের মতামতকে মূল্য দিচ্ছি। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত ইসি নেয়নি। সবার বক্তব্য শুনে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে।