অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধান নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের বিষয়ে জারি করা রুল তিন সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ফিফার টাকার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের বিষয়ে আদেশের ওপর চেম্বার আদালতের স্থিতাবস্থাও বহাল রাখা হয়েছে।
রবিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী এবং রিটের পক্ষে আইনজীবী মুরাদ রেজা।
অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ১৪ মে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সালাম মুর্শেদী ও আবু নাঈম সোহাগসহ সংস্থাটির দুর্নীতি তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রিটে দুদকের চেয়ারম্যান, ক্রীড়া সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, বাফুফেসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
পরদিন কাজী সালাউদ্দিন, আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও আবু নাঈম সোহাগসহ বাফুফের সব বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আদেশে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে ফিফা ও সরকারের দেওয়া অর্থ নিয়ে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান করতে যুব ও ক্রীড়া সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এবিআর) চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়। চার মাসের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া রুলে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা/ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
গত ২৪ জুন বাফুফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশে যে অংশটুকু রয়েছে, সেটুকু স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল দায়ের করেন আবদুস সালাম মুর্শেদী। এদিন ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
পাশাপাশি হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থাও জারি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শুনানি শেষে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।