সপ্তাহ দুয়েক পরেই শুরু হচ্ছে ‘গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’ খ্যাত বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। তবে অন্যান্যবারের মতো নেই উন্মাদনার ছড়াছড়ি। ব্যবস্থাপনা, থিমসং, মাসকট কিংবা লোগো সবখানেই কিছুটা হতাশই করেছে আয়োজক কাতার। ২০১০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। কিন্তু ২০২২ সালে এসেও এই টুর্নামেন্ট দেশটিতে আয়োজন করা নিয়ে বিতর্ক থামেনি।
বিশেষ করে স্টেডিয়াম নির্মাণে শ্রমিকদের মৃত্যু ও কাতারের রক্ষণশীল নিয়মের কারণে সমালোচনায় মেতেছেন ইউরোপের ফুটবল সংশ্লিষ্টরা।
এবার সেই দলে এক্সোগ দিলেন ফিফার সাবেক সভাপতি সেফ ব্লাটার। তার আমলেই কাতারকে আয়োজক হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছিলো। সেই ব্লাটারই বলেছেন, কাতারকে বিশ্বকাপের স্বাগতিক করা ভুল ছিল।
সুইস পত্রিকা টেগাস আনজিগেরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্লাটার বলেছেন, ‘ওই সময় আমরা এই ব্যাপারে সম্মতিতে পৌঁছেছিলাম রাশিয়ায় ২০১৮ ও যুক্তরাষ্ট্রে ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজন করা হবে। এটা শান্তির প্রতি ইঙ্গিত হতো দুই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরপর বিশ্বকাপ আয়োজন করতে দেওয়া। কাতার খুব ছোট দেশ। ফুটবল ও বিশ্বকাপ তাদের জন্য অনেক বড় হয়ে যায়। ’
আর মাত্র সপ্তাহ দুয়েক পরই শুরু হতে যাচ্ছে কাতার বিশ্বকাপ। সাধারণত এই টুর্নামেন্ট হয়ে থাকে জুন-জুলাই মাসে। কিন্তু কাতারের গরমের কারণে এবার সেটি বদলে হচ্ছে নভেম্বর-ডিসেম্বরে। এই বিশ্বকাপ কাতারে আয়োজনের দায় অবশ্য এড়িয়ে যাননি ব্লাটার।
তিনি বলেছেন, ‘এখন বিশ্বকাপ আসন্ন। আমি খুশি যে কিছু প্রত্যাশা থাকলেও কোন ফুটবলারই বিশ্বকাপ বয়কট করছে না। আমার কাছে এটা পরিষ্কার- কাতারকে স্বাগতিক করা ভুল ছিল। পছন্দটা খারাপ ছিল। আমি আসলে ভাবছি ফিফা সভাপতি (জিয়ান্নি ইনফান্তিনো) কেন কাতারে থাকছে?’
‘সে তো বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির প্রধান না। এটা তার কাজও না। এখানে দুইটা কমিটি আছে। একটা স্থানীয়দের আরেকটা ফিফার। ’
২০১০ সালে কাতারকে স্বাগতিক ঘোষণা করার সময় ফিফার সভাপতি ছিলেন তিনি। তার আমলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার ভোটাভুটিতে স্বাগতিক নির্ধারিত হয়। ব্লাটারের দাবি, কাতারের পক্ষে ভোট দেননি তিনি।