জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় জড়িত থাকার ঘটনায় ১২৮ জনকে বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বহিষ্কৃতদের তালিকায় হামলায় সরাসরি জড়িত ছাত্রলীগের অনেকেরই নাম নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত রশিদ।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) নিজের ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ফেস দ্যা পিপল পাঠকদের রিফাত রশিদের স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হল-
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা ১২৮ জনের লিস্ট কারা তৈরি করছে এইটা আমরা জানতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী তানভীর হাসান সৈকতের নাম আসেনি তালিকায়। আসেনাই আবু ইউনুসের মতো সন্ত্রাসীদের নামও। চোখের সামনে আমাদেরকে যারা জসিমউদদীন হলের মাঠে ফেলে আমাকে আর Hamza Mahbub ভাইকে পিটিয়ে মাথা ফাটানো মেহেদী হাসান শান্তের নাম নাই, আমার বোনেদের যারা ভিসি চত্বরে পেটালো তাদের নাম আসেনাই। প্রলয় গ্যাং এর একাধিক সন্ত্রাসীদের নাম আসে নাই তালিকায়।
সায়েন্সের তিন হল থেকে সম্ভবত একজনের নাম এসেছে বহিষ্কারের তালিকায়। ডিপার্টমেন্টগুলো থেকে যে এতো এতো শিক্ষার্থীদেরকে বয়কট করা হইলো সেই তালিকা ধরেও বহিষ্কার করতে পারতো। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হইলো একটা সিঙ্গেল নারীকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কার করে নাই অথচ নির্যাতনের মাত্রা হিসেব করলে এরা পুরুষ ছাত্রলীগের থেকেও ভয়ংকর ছিলো। নারী ছাত্রলীগার সন্ত্রাসীদের কারা শেল্টার দিচ্ছে?
এই বহিষ্কারের তালিকা বানানোর সিন্ডিকেটের সাথে কারা কারা আছে এইটা জানতে চাই আমরা। কাদের শেল্টার দিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন? আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে তানভীর হাসান সৈকত নিজে বসে এই লিস্ট বানাইছে। অবিলম্বে এই তালিকায় সকল হামলাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করে বহিষ্কার না করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এর ফল ভুগতে হবে।’