আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামে গ্রেনেড বিস্ফোরণে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার কাবুল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাগিজা ক্রিকেট লিগ নামক ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ম্যাচ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে। এসময় মাঠে ছিলো ঘরোয়া দুই দল পামির জালমি এবং ব্যান্ড-ই-আমির ড্রাগনস।
এমন ঘটনার পর সাময়িক বিরতি দিয়ে আবারো মাঠে গড়ায় সেই ম্যাচ। প্রথমে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যা। যেটা এখন ১৯। সম্ভাবনা আছে আরো বাড়ার।
কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান বলেছেন, ‘‘একটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটানোর কিছুক্ষণের জন্য ম্যাচ থেমে গেল। এলাকাটি পরিষ্কার করার পর ম্যাচটি আবার শুরু হয়।’’
খেলোয়াড এবং টিম স্টাফরা সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের ইস্যুতে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নসিব খান টুইট করেন, ‘‘বিস্ফোরণে চারজন দর্শক আহত হয়েছেন। খেলোয়াড়, স্টাফ সদস্য এবং বিদেশিরা সবাই নিরাপদে আছেন।’’
বিস্ফোরণের সময় মাঠে উপস্থিত ছিলেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী রামিজ আলাকবারভ। নিন্দা প্রকাশ করেছেন এই ঘটনায়। ‘‘আজকের বিস্ফোরণটি আফগানিস্তানের জনগণ যে ভয়ঙ্কর এবং আকস্মিক সহিংসতার সম্মুখীন হচ্ছে, তা আরেকবার প্রকাশিত হল।’’
যদিও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে ক্রিকইনফো জানিয়েছিল, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো খেলোয়াড় হতাহত না হলেও স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসা ৪ জন দর্শক আহত হয়েছেন।
তবে ডেইলি মেইলসহ আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি মিডিয়া জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের টুইটের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, শুক্রবারের ঘটনায় ১৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অনেকে।
এক টুইটবার্তায় জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘আমি কঠোরভাবে এমন ন্যাক্কারজনক হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। কাবুল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও আরও অনেকে হতাহত হয়েছে।’
পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর ঘণ্টাখানেক পর খেলা শুরুরও অনুমতি দেয়। এই টি-টোয়েন্টি লিগে শাপুর জাদরান, দৌলত জাদরান, করিম জানাত, মোহাম্মদউল্লাহ নাজিবুল্লাহর মতো আফগানিস্তানের বেশ কজন পরিচিত ক্রিকেট তারকা খেলছেন।