বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আমাতুল্লাহ বুশরা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ৬১ দিন কারাগারে থাকার পর মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ফারহানা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলার জানান, আদালতের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই করা হয়। পরে আমাতুল্লাহ বুশরাকে দুপুর ২টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। কারামুক্তির পর আমাতুল্লাহ বুশরাকে তার বাবা মঞ্জুরুল ইসলাম নিয়ে যান।
এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি দুপুরে বুশরার পক্ষে জামিন শুনানি হয়। আদালত শুনানি শেষে আদেশের জন্য অপেক্ষামান রাখেন। ওইদিন জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল ও আব্দুর রহমান হাওলাদার। পরে গত রবিবার (৮ জানুয়ারি) সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসীন ইফতেখার তার জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় গত ১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরার নিজ বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়। ওইদিন তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। গত ১৬ নভেম্বর তাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বুশরাকে বাসায় যাওয়ার জন্য এগিয়ে দেন ফারদিন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিল ফারদিন। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গত ৯ নভেম্বর দিনগত রাতে ডিএমপির রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে বুশরাসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বুশরা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী