মন্ত্রীর তথ্যমতে, মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচলে একজন যাত্রীর ভাড়া হবে ১০০ টাকা। এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র ৩৫ মিনিট।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা ফাইনাল ভাড়া। বিরোধীরা সমালোচনা করুক, আমরা কাজ করে সেটার জবাব দেব।’
বাংলাদেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত এই ট্রেনে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ ছাড় রাখা হয়েছে বলেও জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মেট্রোরেলে মাসিক, সাপ্তাহিক, পারিবারিক এবং কার্ডে ভাড়া দেওয়ার বিশেষ সুবিধা থাকবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা প্রতিবার ভ্রমণে বিশেষ ছাড় পাবেন। শিক্ষার্থীরা ছাড়া পাবেন কিনা তা পরে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রীর সঙ্গে আরও ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশে জাইকার চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ ইহুও হায়েকাওয়া এবং ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক প্রমুখ।
এর আগে মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণে গঠিত কমিটি সম্প্রতি প্রাথমিক প্রস্তাবে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৯০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ২০ টাকা ভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিল। সর্বনিম্ন ভাড়া দিয়ে একজন যাত্রি সর্বোচ্চ দুই স্টেশন পর্যন্ত যেতে পারবে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়।
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের দূরত্ব ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার। এই পথে ১৬টি স্টেশন রয়েছে। দেশের প্রথম মেট্রোরেলে ঘণ্টায় ৬০ হাজার এবং দিনে ৫ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। ছয়টি কোচের ট্রেন প্রতিবারে ৩৮ মিনিটে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনে থেমে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
সব ঠিক থাকলে আগামী ১৬ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে ছুটবে মেট্রোরেলের ট্রেন। প্রথম দফায় রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। সম্পূর্ণ বিদ্যুতচালিত মেট্রোরেলের প্রতিটি কোচ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি)। মেট্রোরেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার যুগে প্রবেশ করবে।
দেশে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা ম্যাস ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। তাদের অধীনে ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় পাঁচটি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা আছে সরকারের। এর মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রথম মেট্রোরেলের নাম দেওয়া হয়েছে লাইন-৬।
ট্রেন চালু হলে যাত্রীদের সুবিধার্থে উত্তরা ও আগারগাঁও স্টেশনের সঙ্গে বিআরটিসির বাস চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থাৎ যাত্রীরা সহজে যাতে স্টেশনে যেতে পারেন এবং নেমে বাস পান সেজন্য বিআরটিসির সঙ্গে প্রাথমিক সমঝোতা হয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের।