কুমিল্লা নগরীতে অভিযান চালিয়ে ধারালো অস্ত্রসহ ছয়টি কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধান তানজিম আব্দুল্লাহ (১৯) নামে এক অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
গত শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় কোতয়ালী মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুল হাকিমের নেতৃত্বে কুমিল্লা নগরীর রানীর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত তানজিম আদর্শ সদর উপজেলার কালীরবাজার এলাকার আব্দুল খালেক ও ফাতেমাজহুরার ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কিশোর গ্যাং লিডার তানজিম আব্দুল্লাহ সিবিকে (কুমিল্লা ব্রাদার্স কমিউনিটি), সিবিকে ডেঞ্জার জোন, সিবিকে জুনিয়র, সিবিকে স্পেশালসহ ছয়টি গ্যাং গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। এসব গ্রুপে আনুমানিক সাড়ে ৭০০ সদস্য রয়েছে।
নগরীতে ইভটিজিং, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক বিক্রি, চাঁদাবাজিসহ দাঙ্গা হাঙ্গামা করে আসছিল। অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করত তারা।
৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেনিতে পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে ও বাধ্য করে কিশোর গ্যাংয়ের কুমিল্লা ব্রাদার্স কিং জুনিয়ট (ঈইক) নামে এই গ্রুপে অন্তর্ভূক্ত করত সে। এই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা হচ্ছে ৪১ জন। এছাড়া কুমিল্লা ব্রাদার্স কিং (ঈইক) নামে আরেকটি বড় কিশোর গ্যাংয়ের গ্রুপ রয়েছে। যার সদস্য সংখ্যা হচ্ছে ২৪১ জন। এই গ্রুপটিও পরিচালনা করে গ্রেফতারকৃত তানজিম। কুমিল্লা ডেঞ্জার জোন নামে ২য় বৃহত্তর আরও একটি কিশোর গ্যাংয়ের গ্রুপ রয়েছে। যার সদস্য সংখ্যা হচ্ছে ২৩১ জন। সেটিও পরিচালনা করে সে। আর ডেঞ্জার বিগ এক্সক্লুসিভ (উইঢ) গ্রুপ নামে আরেকটি গ্রুপ রয়েছে সেটিও পরিচালনা করে সে। যার সদস্য সংখ্যা ১৩০ জন।
এছাড়াও কিং ন্যাশনাল গ্রুপ (কঘএ) নামে গ্রুপে ৭২ জন ও রয়েল ডেঞ্জার এক্সক্লুসিভ (জউঢ) নামে আরও একটি গ্রুপে ৬৩ জন কিশোর গ্যাং সদস্য রয়েছে। যা সবগুলোই এডমিন হিসেবে পরিচালনা করে গ্রেফতারকৃত তানজিম। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত তানজিম যে ৬টি গ্রুপ পরিচালনার করে তাতে সব মিলিয়ে ৭৭৮ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য যুক্ত আছে।
এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিনুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি ফেস দ্যা পিপলকে বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত কিশোর গ্যাংয়ের লিডার তানজিমের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক মামলা প্রক্রিয়াধীন, তাকে রিমান্ডের জন্য আমরা আদালতে আবেদন করবো। কিশোর গ্যাংয়ের বাকি সদস্যদেরকেও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’