কুমিল্লায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত শিশুবিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জহিরুল হক মারা গেছেন।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মারা যান।
এর আগে রোববার বিকালে অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ থেকে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর রেসকোর্স এলাকার শাপলা ভবনে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. জহিরুল হক এবং তার স্ত্রী ফারহানা আফরিন হিমিকে উপর্যুপরী ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করেন একই ভবনের কয়েকজন উগ্র বাসিন্দা।
মুমূর্ষু অবস্থায় ওই চিকিৎসককে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ এবং স্থানীয়দের ভাষ্য, নগরীর রেসকোর্স এলাকার শাপলা ভবনে ফ্ল্যাট মালিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই সূত্র ধরে একই ভবনের বাসিন্দা সালাহউদ্দিন মাহমুদ পাপ্পুর নেতৃত্বে ডা. জহিরুল হকের চেম্বারে ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে তিনি গুরুতর জখম হন।
এ সময় ওই চিকিৎসকের স্ত্রী ফারহানা আফরিন হিমিকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয়রা আহত ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। এতে গুরুতর আহত ডা. জহিরুল হককে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যেই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এতে তার ব্যাপক জখম হয়েছে।
তিনি বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ডা. জহিরুল হককে দুদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার পর অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে তিনি মারা যান।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আহাম্মেদ সঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সালাউদ্দিন মাহমুদ পাপ্পু নামের এক হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।