আব্দুল আলীম/ দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা, সড়কের নাজেহাল অবস্থা, নিম্নমানের সংস্কারে খানাখন্দ, যানজট নিরসন, দূর্ঘটনা, জনদুর্ভোগ ও সড়কের দুই পাশে মাটি দিয়ে সংস্কার এবং চার লেনে উন্নীত করণের দাবীতে কুমিল্লার ৬ টি স্হানে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, ছাত্র জনতাসহ সকল শ্রেনি পেশার লোকজন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি, কংশনগর বাজার ও দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ বাজার, নিউ মার্কেট চত্বর এবং মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানিগঞ্জ বাজারে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভ চলাকালীন সময় সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হলেও, বিক্ষোভ শেষে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জেলা পুলিশের কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের আশ্বাসে পরবর্তীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি উঠিয়ে নেওয়া হয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করনের জন্য প্রস্তাবিত হলেও কাজ হচ্ছে না। এছাড়া দীর্ঘদিন সড়কটিতে খানাখন্দ হলেও সেটি মেরামত করা হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নাম মাত্র সংস্কার করা হয়। দীর্ঘ যানজটের কারণে চরম ভোগান্তিতে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এছাড়া সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে অধিকাংশ জায়গায় সড়কের দুই পাশে মাটি নেই। সে কারণে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা হচ্ছে, এতে করে আহতের চেয়ে নিহতের সংখ্যা বেশি হচ্ছে।
তাই আমরা চাই খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হোক। আমাদের দাবি মেনে নেয়া হলে আবারও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
অবরোধ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদ, দেবিদ্বার উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা প্রতিনিধি কাজী নাসির ও কাজী রাহাত মোঃ নাহিদ ইসলামসহ বিএনপি, জামায়াত ইসলামী, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।
এ বিষয়ে কুমিল্লার সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা জানান, সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ নিয়ে ব্যবস্হা নিচ্ছি। সড়কের দুই পাশে মাটি না থাকায় দূর্ঘটনা ও খানাখন্দ, গর্তে নিম্নমানের সামগ্রী দ্বারা সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সড়কের দুই পাশের বাসিন্দাদের কারণে মাটি চলে যাচ্ছে। বৃষ্টির কারণেও মাটি কেটে যাচ্ছে, আমরা পরিদর্শন করে ব্যবস্হা নেব। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কারের বিষয়ে জানান আমরা জনদুর্ভোগ লাগবে কোন রকম সংস্কার করছি। বর্ষার পরে টেকসই সংস্কার করবো।