পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটায় জামায়াত-শিবিরের গোপন বৈঠক চলাকালে অভিযানে চালিয়ে ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ জুলাই) দুপুর দুইটায় আল-হেরা নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের সাথে ধস্তাধস্তিতে চার পুলিশ সদস্যও আহত হন।
আহতরা হলেন- এসআই শহিদুল ইসলাম, কনস্টেবল মাসুম, কনস্টেবল হাসান ও কনস্টেবল ফরহাদ। তাদের কুয়াকাটা ২০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ঝালকাঠি থেকে জামায়াত-শিবিরের ৫০-৬০ জনের একটি দল কুয়াকাটায় এসে হোটেল আল-হেরার তৃতীয় তলায় কয়েকটি রুম ভাড়া নেন। পরে শনিবার সকালে তারা একত্রিত হয়ে জামায়াতের সাংগঠনিক কার্যক্রম, তাদের কর্মী সংগ্রহ কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ১১ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় বাকি সদস্যরা পালিয়ে যায়।
আটকরা হলেন—ফরিদুল হক (৫৬), মোজাম্মেল হক(৭৫), ফারুক হোসেন(৫৭), আজিজুর রহমান (৩৮), আ. হান্নান (৫০) আরিফ হোসেন হাওলাদার (২৪) জাহিদুল ইসলাম (৪৬) রফিকুল ইসলাম (৫৪), এনামুল হক সরদার ৩৭) আবদুল হালিল হাওলাদার (৬৪) হারুন অর রশিদ (৫৭)। এদের সবার বাড়ি ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমল কৃঞ্চ মল্লিক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ হোটেলে অভিযান চালায় এতে আমাদের চার সদস্য আহত হয়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা তাদের কাছ থেকে ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়ায় এমন বই, জিহাদি বই, মোবাইল, কর্মী সংগ্রহের বেশকিছু কাগজপত্র জব্দ করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। কুয়াকাটায় জামায়াতের কার্যক্রম জোরদার করে নাশকতা ও দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটক করা হয়েছে তাদেরকে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
হোটেলের ম্যানেজার মারুফ ইসলাম জানায়, শুক্রবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে অর্ধশতাধিক লোকজন হোটেলটির ১০টি কক্ষ ভাড়া নেয়। এর মধ্যে নারী সদস্যরা দুইটি রুমে অবস্থান নেয়। তবে এদের কারো নাম হোটেলের রেজিস্টার্ডভুক্ত ছিল না। শনিবার গোপন বৈঠক চলাকালে পুলিশের অভিযানে তোলপাড় শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করে জামায়াত-শিবিরের ১১ সদস্যকে আটক করে পুলিশ।