খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) মঙ্গলবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
মঙ্গলবার পৃথক বিবৃতিতে এ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয় দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে। এর ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে বলা হয়, ‘ছাত্রদলের সন্ত্রাস, রুখে দাঁড়াও ছাত্র সমাজ।’ কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
অপরদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিকেলে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এ সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে অপব্যবহার করে ফরম বিতরণের অভিযোগ এনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে গুপ্ত সংগঠন শিবির ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কতিপয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী।’
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত ফ্যাসিবাদী সংগঠন ছাত্রলীগ যেমন অতীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামকে ভাঙিয়ে নিজেদের নানান অপকর্মের সাফাই দিতো, ঠিক সেভাবেই ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে গুপ্ত সংগঠন শিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামকে কলুষিত করছে এবং এই নাম ব্যবহারের মাধ্যমে হামলা চালিয়ে সহিংস ফ্যাসিবাদী কায়দা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন কুয়েটে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের ওপর নৃশংস হামলার বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং উক্ত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আজ রাত ৮টায় একটি বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছেন।
মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে।
এর আগে বেলা ৩টা থেকে শুরু হওয়া সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ এর অধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।