কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মহিষাখোলা গ্রামে এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাটি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত যুবক তুষার শেখ, স্থানীয় একজন বাসিন্দা।
হেলাল উদ্দিন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার ভাষ্য, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ঘটনাটি সামনে আসে। স্থানীয়ভাবে সালিশের বৈঠকে বসে কোন সমাধান হয়নি। তবে এলাকার মধ্যে এরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, তিনি ঢাকায় থাকেন এবং তার মেয়ে মা-হারা। স্থানীয় তার এক আত্মীয় বাসায় থেকে সে পড়াশোনা করেন। এই সুযোগ নিয়ে তুষার তার মেয়েকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। তিনি বলেন, মেয়ে নিয়ে আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরছি, কিন্তু বিচার পাচ্ছি না।
গত ১৯ জুন এই বিষয়টি নিয়ে সালিশ বসানো হয়। সালিশে উপস্থিত ছিলেন সদকী ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবদুর রাজ্জাক, অভিযুক্ত যুবক এবং ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। তবে সালিশে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় সন্ধ্যায় ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
অভিযুক্ত তুষার ও তার বাবা বাড়িতে নেই এবং তাদের মা সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। ইউপি সদস্য আবদুর রাজ্জাক সালিশ বসানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেছি কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি ।
কুমারখালী থানার ওসি সোলাইমান শেখ জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ আমরা পায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।