কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জুনিয়াদহ ইউনিয়নের রনপিয়া গ্রামে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ও রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা। স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিরুল ইসলামের ছোট ছেলে মোহাম্মদ মমিন (২০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ই) মে সকালে ৮টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মমিনের আত্মহত্যার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় এবং এর সাথে সাথে শুরু হয় নানা আলোচনা ও জল্পনা-কল্পনা। কেউ বলছেন, এটি আত্মহত্যা হলেও ঘটনাটি অনেক প্রশ্ন রেখে গেছে। আবার অনেকের দাবি, এটি পরিকল্পিত কোনো ঘটনা হতে পারে, যা আত্মহত্যার ছদ্মবেশে ঘটেছে।
মমিনের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানান, “তার আচরণে কোনো অস্বাভাবিকতা আমি কখনো দেখিনি। সে আত্মহত্যা করতে পারে—এটা বিশ্বাসই করতে পারছি না।”
ঘটনার বিষয়ে মতভেদ দেখা গেছে এলাকাবাসীর মধ্যেও। কেউ কেউ বলছেন, পারিবারিক কলহ এবং নেশাগ্রস্ততার কারণে হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে মমিন। একজন স্থানীয় ব্যক্তি, যিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বলেন, ‘ছেলেটা আগে থেকেই মাদকাসক্ত ছিল। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে অশান্তি ছিল বলে শুনেছি। কিন্তু তারপরও এমন পরিণতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
এদিকে, ঘটনার পরপরই ভেড়ামারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। থানার ওসি মো. রাকিব হোসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে তদন্ত করেছি। এখন পর্যন্ত আত্মহত্যা ছাড়া অন্য কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। পরিবার থেকেও কোনো অভিযোগ করা হয়নি।’
ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়াতেও শুরু হয় নানা মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া। অনেকেই এ ঘটনায় পুলিশের আরও গভীর তদন্ত দাবি করছেন। মমিনের মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও রহস্য, যার নিরসন চায় এলাকাবাসী।