কুষ্টিয়ায় ৬০০ টাকায় দিনমজুর এনে যুবলীগের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেছে। শহর যুবলীগের সভাপতি সজিবুল ইসলাম সজিবের নেতৃত্বে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলের পর এ ঘটনায় পুলিশ পিটিআই রোড থেকে ১০ শ্রমিককে আটক করেছে। তাদের মধ্যে ৮ জন কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও দুজন সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আটকরা হলেন— নজিম উদ্দিন মন্ডল ও আব্দুল খালেক, আলম খান, মোতালেব, ফরিদ ব্যাপারী, সালাম সর্দার, আলতাফ শেখ, সূর্য শেখ ও সাইদুর রহমান।
গ্রেফতারদের দাবি, তাদের ৬০০ টাকা হাজিরাই বালু কাটার কথা বলে তাদের ডেকে যায়। পরবর্তীতে তারা হঠাৎ মাহবুবুল আলম হানিফের বাড়ির সামনে গিয়ে মিছিল শুরু করে দেয়। আমরা অবাক হয়ে শুধুমাত্র সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম,আমরা কেউ মিছিলে যায়নি। তবুও পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করেছে, আমরা নির্দোষ।
শ্রমিকদের স্বজনরা জানান, রোববার সকালে শহরের ছয় রাস্তার মোড় থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি বালি সরানোর কথা বলে ১০ জন শ্রমিককে ৬শ টাকা হাজিরায় কুষ্টিয়া পিটিআই রোডে ডেকে নিয়ে যান। এবং সেখানে তারা হঠাৎ করেই মিছিল শুরু করে দেন। নিরপরাধ আমাদের দিনমজুর স্বজনদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
সদর থানা পুলিশের ওসি মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন,গতকাল রোববার সকাল ৭টার দিকে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের বাড়ির সামনের এলাকা পিটিআই রোড তারা এই মিছিলটি করেছে। পরবর্তীতে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তারা নিজেদের দিনমজুর হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। তারা আসলেই আওয়ামী লীগ বা যুবলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে।
কুষ্টিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. হাসিবুর রহমান জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের লোকেরা কাজের নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলছে। এই মানুষগুলোর আইনজীবীর পিছনে খরচ করার সামর্থ্য নেই। এই মানুষগুলোর ১ দিন কাজ না করলে চুলোয় আগুন জ্বলে না, স্ত্রী সন্তানের পেটে খাবার জোটে না। আমরা এরকম দিনমজুরকে নয় নিষিদ্ধ দলের নেতৃত্বদানকারী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করার দাবি জানাই।
আপ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুলতান মারুফ তাললা জানিয়েছেন,আওয়ামী লীগ বা যুবলীগ এদের প্রকাশ্যে জনসম্মুখে এসে জনগণকে সাথে নিয়ে কোনো মিটিং,মিছিল করার সাহস নেই। কারণ তারা বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের নাম করে গত ১৭ বছর সন্ত্রাসযোগ্য কার্যক্রম চালিয়ে এখন নিষিদ্ধ হয়েছে। পরবর্তীতে তারা এ ধরনের মিছিল মিটিং করতে গেলে অবশ্যই বাংলাদেশের ছাত্র জনতা ও বিপ্লবীরা তাদের রুখে দিবে এবং আমরা আশা রাখি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবেন।