কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চরশাদিপুর গ্রামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে চরশাদিপুর মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় নিহতের মুখ বাঁধা ছিল এবং শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ওই নারীর নাম জাইমা খাতুন (৫৫)। তিনি চরশাদিপুর গ্রামের মৃত আফাজ খাঁর মেয়ে। এছাড়া স্বামী পরিত্যক্তা এই নারী দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলেও জানা যায়।
পরিবারের অভিযোগ, জাইমা নিয়মিত মাঠ থেকে ছাগলের জন্য ধঞ্চে গাছের পাতা কাটতেন। এ নিয়ে স্থানীয় ধঞ্চে চাষিদের সঙ্গে তার বিরোধ তৈরি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এই বিরোধ থেকেই ক্ষোভের কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার পর নিহতের ভাই আসানুল খাঁ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এর মধ্যে চরশাদিপুর গ্রামের মৃত আইজউদ্দিনের ছেলে সেন্টু আলী (৫৫) ও আনারুল ইসলাম (৪৬) হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জমি ও ধঞ্চে পাতার বিরোধ থেকেই হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।