মাত্র ১৪ মিনিটে তিনটি গোল করে নবমবারের মতো বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে হ্যাট্রিক করলেন ইংলিশ তারকা ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইন।তিনটি গোলই করেছেন দ্বিতীয়ার্ধে। এছাড়া কেইন ও লুইস দিয়াজদের দাপুটে পারফরম্যান্সে আরবি লাইপজিগকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার ( ২৩ আগস্ট ) রাতে ঘরের মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচটি শুরু হয়। যদিও মাঠে নামার আগে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিল বাভারিয়ানরা। কারন গ্রীষ্মকালীন দলবদলে একাধিক ফরোয়ার্ডকে হারিয়েছে বায়ার্ন। তবে বড় জয় দিয়ে মৌসুম শুরু করে আবার জানান দিলো শিরোপা ধরে রাখার প্রত্যয়।
ম্যাচ শুরুর পর থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করে ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যরা। বল পজিশন থেকে শট সবদিকেই একক আধিপত্য রাখে বায়ার্নের খেলয়ারেরা। ম্যাচের ৬৩ শতাংশ বল দখলের পাশাপাশি ১৯টি শট নিয়ে ১০টিই লক্ষ্যে রেখেছিল বায়ার্ন।
এদিকে ম্যাচের প্রথম ডেডলক ভাঙ্গে ২৭ মিনিটের মাথায়, ফরাসি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ওলিস এর গোলের মধ্য দিয়ে। এরপর দ্বিতীয় গোলটি ছিল দেখার মতো, দুর্দান্ত এক শটে বল জালে জড়ান সদ্য লিভারপুল ছেড়ে বাভারিয়ান শিবিরে যোগ দেওয়া লুইস দিয়াজ। এছাড়া বিরতিতে যাওয়ার মিনিট তিনেক আগে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন ওলিস।
বায়ার্ন বড় ব্যবধানে জিতবে অথচ হ্যারি কেইন গোল পাবেন তা অকল্পনীয়! প্রথমার্ধে গোল না পাওয়ার আক্ষেপ ঘোচালেন একেবারে হ্যাটট্রিক করে। তাও আবার ৬৪ থেকে ৭৭–এই ১৪ মিনিটে। মৌসুমের প্রথম ম্যাচে এত দ্রুততম হ্যাটট্রিক সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ১৯৭১ সালে। ওই বছরের ১৪ আগস্ট শালকের কিংবদন্তি ক্লাউস ফিশার হ্যানোভারের বিপক্ষে চার গোল করেছিলেন, যার মধ্যে শেষ তিনটি গোল এসেছিল মাত্র ১২ মিনিটে।
২০২৩ সালে টটেনহ্যাম থেকে বায়ার্নে যোগ দিয়েছিলেন কেইন। আর এরই মাঝে বাভারিয়ানদের জার্সিতে তিনি নবম হ্যাটট্রিক পেয়ে গেলেন। ইংলিশ তারকা শেষ মুহূর্তে বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় দর্শকদের করতালিতে সিক্ত হন। ৭৭ মিনিটে তার করা দলের ষষ্ঠ গোলটিই ছিল লাইপজিগের কফিনে শেষ পেরেক। ৬-০ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন।