কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীসহ উত্তাল সমগ্র দেশ। এ আন্দোলনে রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় স্থানীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে আন্দোলনকারীদের তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর ব্যাপক সংঘর্ষে চানখারপুল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীরা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের রাতুল ও এফ রহমান হলের শুভ এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শাফিন।
প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টার পর চানখারপুল মোড়ে দক্ষিণ মহানগর ছাত্রলীগ এবং কোটা আন্দোলনকারীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। এ সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।
এ গুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই এবং ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, গোলাগুলিতে জড়িতরা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। গুলিবিদ্ধরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আন্দোলনকারীদের একাংশ এখনও চানখারপুল মোড়েই অবস্থান করছেন।
এদিকে ঢামেক সূত্র বলছে, সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করে ঢামেকে আনা হয়েছে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ছাড়াও রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন৷ নিহত আবু সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়টির ইংরেজি বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন৷
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে নিহত হয়েছেন তিনজন।
নিহতরা হলেন, ফারুক, ওয়াসিম আকরাম এবং ফয়সাল আহমেদ শান্ত, তার পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।তিনজনের মরদেহ চমেক মর্গে রয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার এডিসি (দক্ষিণ) মো. আশরাফুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, বিকেলে সোয়া ছয়টা পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা অনেক। আমাদের অনেক পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। তাদের সংখ্যা এখন বলা যাচ্ছে না।