বুধবার (৩ জুলাই) বিকাল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।এসময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রায় বিশ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেয়া এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা ; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা। কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া; এছাড়া দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।
এসময় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়ামের সঞ্চালনায় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুজ্জামান বাপ্পী বলেন, ’১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বৈষম্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অথচ আজকে সাধারণ মানুষকে উপেক্ষা করে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা কোন ধরনের বৈষম্য মেনে নিবো না এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।’
পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও এসে দেখছি, সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা বিদ্যমান। এ বৈষম্যের জন্য কি আমরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম? আমরা আবারও যুদ্ধে নেমেছি এই বৈষম্য দূর করার জন্য। যদি আগামীকাল আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হয়, তাহলে সারা দেশ অচল করে দেওয়া হবে।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এ এফ এম সায়েদ বলেন, জন সাধারণের দূর্ভোগের কথা ভেবে আমরা ইতোমধ্যে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করেছি। পাশাপাশি আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছেন। আশা করি দ্রুত তারা অবরোধ তুলে নিবেন।