আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতি পদে কোনো ইয়েস উদ্দীনকে মনোনয়ন দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন দল্টির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এমন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যার গোটা জীবনটাই বর্ণাঢ্য।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা এমন কোনো রাষ্ট্রপতি করিনি যার নাম ইয়াজউদ্দিন, কার্যক্রমে ইয়েস উদ্দিন। এ ইয়েস কোনো ব্যক্তিকে আমরা রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দিইনি। আমরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী, কোনো অপশক্তিকে মনোনয়ন দিইনি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তাঁর বক্তব্যে ‘ইয়েসউদ্দিন’ বলতে ২০০২ সালে বিএনপি–জামায়াত জোট সরকারের সময়কার রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদের কথাই বলেছেন। ইয়াজউদ্দিন ২০০২ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। রাজনৈতিক গোলোযোগের সময় ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি এই পদত্যাগ করেন এবং তার পরদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, টেরোরিজমে বিশ্বাস করে, আগুন সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে এমন কোনো ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় রয়েছে। এ কারণে তারা (আওয়ামী লীগ) কাকে রাষ্ট্রপতি বানাচ্ছে, তাতে বিএনপির আগ্রহ দেখানোর কিছু নেই।
বিএনপির অনাগ্রহের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে তাদের আগ্রহ থাকবে না। দেশের সংবিধানে, গণতন্ত্রে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। গণতন্ত্র ও সংবিধানে আগ্রহ না থাকে তাহলে রাষ্ট্রপতি কে হলো না হলো, তা নিয়ে তাদের আগ্রহ না থাকারই কথা। এ নিয়ে আমরা অবাক হইনি।
‘আমরা পরিষ্কার বলতে চাই—আমরা প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চাই। বিএনপির মতো দল নির্বাচনে থাকুক, এটা আমাদের প্রত্যাশা’, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
নতুন রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব নেওয়ার পর সংবিধান মেনে কাজ করার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে যে দায়িত্বভার দিয়েছেন, সেটা তিনি করবেন, সংবিধানের বাইরে কিছু করার থাকবে না।’